Volcano

যেন টাওয়ারিং ইনফার্নো! কাদার ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাত কাস্পিয়ান সাগরে

অগ্ন্যূৎপাতে পৃথিবীর অন্দর থেকে লাভার স্রোত বেরিয়ে আসার ঘটনা যতটা স্বাভাবিক, পাহাড়প্রমাণ কাদার তাল বেরিয়ে আসার ঘটনা ততটাই বিরল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২১ ১৮:২২
Share:

কাদার সেই বিরল আগ্নেয়গিরি। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

দেখা যায় না বললেই হয়। এমন বিরল অগ্ন্যুৎপাত হল কাস্পিয়ান সাগরে। গনগনে লাভা নয়। অতলান্ত জল ফুঁড়ে বেরিয়ে এল কাদার পাহাড়প্রমাণ তাল। তাল তাল কাদা। কয়েকশো ফুট উঁচু সেই পাহাড়প্রমাণ কাদার তাল। সঙ্গে উঠে এল অত্যন্ত উষ্ণ জলের ধারা। ফোয়ারার মতো। যেন টাওয়ারিং ইনফার্নো!

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটাই ‘মাড ভলক্যানো’ বা কাদার আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুৎপাতে পৃথিবীর অন্দর থেকে লাভার স্রোত বেরিয়ে আসার ঘটনা যতটা স্বাভাবিক, পাহাড়প্রমাণ কাদার তাল বেরিয়ে আসার ঘটনা ততটাই বিরল।

আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৪ জুলাই। আজারবাইজান লাগোয়া কাস্পিয়ান সাগরে। ওই অগ্ন্যূৎপাত শুরু হওয়ার আগে বা পরে আজারবাইজানের উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি থরথর করে কেঁপে ওঠে এক ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে। সেই বিস্ফোরণে লাগোয়া ৬ মাইল এলাকায় অনুভূত হয় সেই কম্পন। আজারবাইজানের সমুদ্রোপকূলবর্তী রাজধানী শহর বাকুর থেকে ৪৫ মাইল দূরত্বে রয়েছে উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি।

Advertisement

আরও পড়ুন

রাজ্যে নতুন আক্রান্ত এক ধাক্কায় ন’শোর নীচে, মৃত্যু ১৮, সক্রিয় রোগী ১৮ হাজারের কম

Advertisement

আরও পড়ুন

মহারাষ্ট্রে মহারাজনীতি, শিবসেনার চালে কি আপাতত ‘নিরাপদ’ উদ্ধব সরকার

এখন সেই কাদার আগ্নেয়গিরি। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

কেন কাস্পিয়ান সাগরে তাল তাল কাদার এই বিরল অগ্ন্যুৎপাত, কেনই বা উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি থরথর করে কেঁপে উঠল ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে, এখনও আজারবাইজান সরকার তার কারণ জানাতে পারেনি। কাদার আগ্নেয়গিরির জন্যই কি কেঁপে উঠেছিল উমিডে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলি, নাকি ওই এলাকার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রগুলির ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণের জেরেই পাহাড়প্রমাণ কাদার অগ্ন্যূৎপাত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদ কাস্পিয়ান সাগরে তা স্পষ্ট ভাবে বোঝা সম্ভব হয়নি। কাস্পিয়ান সাগর রয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের মাঝখানে। ককেশাসের পূর্বে কাস্পিয়ান সাগর রয়েছে উত্তরে ইরানের পাহাড়, মালভূমির উত্তর দিকে।, দক্ষিণে ইউরোপের ভাগে পড়া দক্ষিণ রাশিয়া পড়ে কাস্পিয়ান সাগরের দক্ষিণে। আর মধ্যপ্রাচ্যের পশ্চিমে পড়ে কাস্পিয়ান সাগর।

আগ্নেয়গিরি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কাদার আগ্নেয়গিরির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাসও। বিশ্বে এমন কাদার আগ্নেয়গিরি রয়েছে প্রায় এক হাজারটি। তবে সেগুলির বেশির ভাগই রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপে বা ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জে। আজারবাইজানে এমন প্রায় ৪০০টি কাদার আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তাই দেশটির পরিচিতি আরও একটি নাম। ‘ল্যান্ড অব ফায়ার’। আগুনের দেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement