শেখ সইফ বিন আহমেদ। ছবি: এএফপি
দোহার রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে তাদের বিদেশ নীতিতে বাকি উপসাগরীয় দেশগুলিকে নাক গলাতে দেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কাতার সরকার। শেখ সইফ বিন আহমেদ নামে কাতারের এক মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপসাগরীয় সঙ্কট সমাধানে তাঁদের বিদেশ নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা তাঁরা অন্য কোনও দেশের হাতে তুলে দিতে পারবেন না। তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই সঙ্কট সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসতে তাঁরা সব সময় রাজি।
সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে ৫ জুন থেকে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সৌদি আরব-সহ সাতটি দেশ। তালিকায় ছিল বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইয়েমেন, মিশর, লিবিয়া আর মলদ্বীপও। সম্পর্ক ছিন্ন করার সঙ্গে স্থল, জল ও আকাশপথে কাতারের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারা।
শেখ সইফের অভিযোগ, ওই ঘটনার পর থেকে কাতারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সব বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরাইন ও মিশরের মতো দেশগুলি। অর্থাৎ কাতারের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা চলছে বলে পরোক্ষে অভিযোগ করেছেন তিনি। সইফের আরও বক্তব্য, ‘‘সব সঙ্কটের উপরেও রয়েছে কাতারের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা। আমাদের দেশের নীতি দেশের বাইরে অন্য কোথাও নির্ধারিত হবে, সেটা তো হতে দেওয়া যায় না। তবে কেউ চাইলে আমরা আলোচনায় বসতেই পারি। কিন্তু আমাদের বাদ দিয়ে কিছুই করা যাবে না।’’
গত মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি নতুন করে জটিল হয়েছে। দোহার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কিছু ব্যক্তি ও জঙ্গি সংগঠনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাকি দেশের সংগঠন। কাতারি মন্ত্রীর বক্তব্য, এই তালিকা প্রকাশ করে আসলে সমস্যা সমাধানের রাস্তা বন্ধ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি আলোচনা আর মধ্যস্থতার জন্য আমরা সর্বদা প্রস্তুত। কিন্তু তার জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে।’’