ফাইল ছবি
এখনও রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেননি দ্রৌপদী মুর্মু। কিন্তু এই মুহূর্তে গোটা দুনিয়ার উদ্বেগের কেন্দ্রে থাকা মস্কোর কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তা পৌঁছে গেল তাঁর কাছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক অভিনন্দন বার্তায় জানিয়েছেন, ‘ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রগুলিতে আমরা বহু দিন ধরেই জোর দিচ্ছি। আশা করি, ভারত-রাশিয়া রাজনৈতিক সংলাপ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সহযোগিতার ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা আরও জোরদার হবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি বাড়বে।’
কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাশিয়ার এই সক্রিয়তাই বলে দিচ্ছে নয়াদিল্লিকে পাশে রাখতে তারা কতটা মরিয়া। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ভারত ভারসাম্যের কূটনীতি নিয়ে চলছে। আমেরিকা এবং গোটা পশ্চিমি বিশ্ব এককাট্টা হয়ে রাশিয়ার নিন্দা করে চললেও তাতে গলা মেলায়নি নয়াদিল্লি। বিনিময়ে রাশিয়া থেকে সস্তায় অশোধিত তেল কিনে মজুত করছে ভারত। কিন্তু পশ্চিমের চাপ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে মস্কোর ব্যাপারে চোখ বুঁজে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতের পক্ষে। কারণ যুদ্ধ শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তাই রাশিয়ার ভারত সংক্রান্ত সক্রিয়তা বাড়লেও নিজের নির্দিষ্ট ভারসাম্যের অবস্থানেই এখনও পর্যন্ত অনড় রয়েছে সাউথ ব্লক।
এ দিকে, নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছে হুগলির পান্ডুয়ার সিমলাগড়ের আদিবাসী শিল্পীদের একটি দল। এই দলের নেত্রী পূর্ণিমা মান্ডি বলেন, ‘‘আমাদের সমাজের এক জন দেশের সর্বোচ্চ পদে শপথ নেবেন। তাঁকে সম্মান জানাতে আমরা ২৭ জনের একটি দল যাচ্ছি দিল্লিতে। ওখানে আমরা আদিবাসী নৃত্য করব।’’ শনিবার সকালে হাওড়া থেকে পূর্বা এক্সপ্রেসে রওনা হয়েছে শিল্পীদের দলটি।