হংকং-এ প্রতিবাদীদের মিছিল।
গণতন্ত্রকামী তিন তরুণ প্রতিবাদীর মুক্তি চেয়ে রবিবার হংকং-এর পথে নামলেন কয়েক হাজার মানুষ। হাঁসফাঁস গরমের পরোয়া না করে হংকংয়ের প্রাণকেন্দ্রে কোর্ট অব ফাইনাল অ্যাপিল অবধি বিরাট মিছিল করেন প্রতিবাদীরা। বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
গণতন্ত্রের দাবিতে ২০১৪ সালে হংকংয়ে যে রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেই ‘আমব্রেলা মুভমেন্ট’-এ যুক্ত ছিলেন জোসুয়া ওং(২০), লাথান ল(২৪) এবং অ্যালেক্স চাউ (২৭)। স্বাধীন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ, জমায়েত ও হংকংয়ের একাধিক সরকারি অফিস, আদালতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে গত বছর দোষী সাব্যস্ত হন তাঁরা। তবে তখন তাঁদের কারাদণ্ড হয়নি। হংকং সরকার এখন মনে করছে, এই ভাবে বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দেওয়া হলে বার বার শহরে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করবেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার ওই তিন যুবনেতার ছয় থেকে আট মাসের কারাদণ্ড ঘোষণা করে আদালত। রায় দিতে গিয়ে আদালত বলে, নিজেদের আদর্শের জন্য এ ভাবে আইন ভাঙার এক ‘অস্বাস্থ্যকর ধারা’ তৈরি হচ্ছে।
এতেই খেপে উঠেছেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপ্রেমীরা। তিন যুবনেতার মুক্তির দাবিতে আজ প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় নামেন প্রতিবাদীরা। রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি ওঠে সেই মিছিল থেকে। পথে হাঁটেন হাজার হাজার মানুষ। জ্যাকসন ওয়াই নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের কথায়, ‘‘এই যুবকেরাই আমাদের ভবিষ্যতের আশা। আর তাঁদেরই জেলবন্দি করা হচ্ছে!’’ তাঁর মতে, এই তিন যুব নেতা ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের’ শিকার। আধা-স্বশাসিত হংকংয়ের উপর যে বেজিংয়ের থাবা আরও শক্ত হচ্ছে, তার প্রমাণ হচ্ছে এই ধরনের ঘটনাটিগুলি।
১৯৯৭ সালে ‘এক দেশ, দুই পন্থা’ নীতিতে চিন সরকারের নিয়ন্ত্রণে এসেছিল হংকং। হংকংকে চিনের বিচার ব্যবস্থার আওতায় না এনে প্রত্যাশামতো স্বাধীনতার আশ্বাস দেওয়া হয় সেই সময়। কিন্তু সেই চুক্তি ভেঙে হংকংয়ের উপর ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে চিনের বিরুদ্ধে।