খোশমেজাজে: বন্ধুর বিয়েতে প্রিয়ঙ্কা। ছবি: এএফপি
বন্ধু মেগান মার্কলের বিয়েতে আজ চোখে পড়ার মতোই লাগছিল প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে। ফিলিপ ট্রেসির নক্সা করা হ্যাট, ল্যাভেন্ডার ভিভিয়েন ওয়েস্টউড ব্লেজার ও স্কার্টে সকলের নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী।
গত কয়েক বছরে মুম্বই ছেড়ে প্রায় পাকাপাকি ভাবেই হলিউডে আস্তানা গেড়েছেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর টেলি-সিরিজ ‘কোয়ান্টিকো’ সাড়া জাগিয়েছিল। হলিউডে গিয়েই পরিচয় হয় ‘স্যুটস’-খ্যাত অভিনেত্রী মেগান মার্কলের সঙ্গে। ক্রমে বন্ধুত্ব। এক সময়ে এটাও শোনা গিয়েছিল, প্রিয়ঙ্কা নাকি মেগানের ‘ব্রাইডসমেড’ হচ্ছেন। পরে অবশ্য ঠিক হয়, ব্রাইডসমেড হবে খুদেরা, সকলের বয়স বারোর নীচে। তার মধ্যে কনিষ্ঠতম উইলিয়াম-কেটের কন্যা শার্লট। কাউকে ‘মেড অব অনার’ করেননি মেগান। জানান, কোনও এক জন বন্ধুকে বেছে নিয়ে বাকিদের দুঃখ দিতে পারবেন না।
মে মাসের শুরুতেই প্রিয়ঙ্কা একটি মার্কিন পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ রাজবাড়ির বিয়েতে নিমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি। তবে সেই সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন, ব্রাইডসমেড তিনি হচ্ছেন না। কী পরবেন, তা নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘মনে মনে ভাবছি, এখনও কিছু আলাদা করে রাখিনি।’’ সত্যিই যে ভেবেছেন, আজকের সাজেই স্পষ্ট।
মেগানের বিয়ে নিয়ে বরাবরই উচ্ছসিত প্রিয়ঙ্কা। কিছু দিন আগে একটি পত্রিকায় বন্ধুকে নিয়ে প্রবন্ধও লিখে ফেলেছিলেন তিনি— ‘‘সহাস্য, মুক্তমনা মেয়েটি তাঁর রাজপুত্রকে খুঁজে পেয়েছে। ওঁদের দেখে নাকউঁচু পৃথিবীর রূপকথায় বিশ্বাস ফিরে এসেছে।’’ পরে টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘ও আধুনিক যুগের তরুণীর আদর্শ উদাহরণ। ব্যতিক্রমী ভাবনা-চিন্তা। লড়াকু মনোভাব। উচ্চাকাঙ্ক্ষী। আমার মনে হয় মেগানের মতো কেউ এ যুগের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। ওঁর ব্যক্তিত্ব এমনই।’’ আজও তিনি বলেন, ‘‘মেগানকে বেশ কয়েক বছর হল চিনি। ওঁর জন্য খুব খুশি। ওঁর এমন একটা দিনে আনন্দের ভাগীদার হতে পেরে ভীষণ ভাল লাগছে।’’