প্রিন্স হ্যারি।—ছবি এএফপি।
ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স, হ্যারি-মেগান ‘সিনিয়র রয়্যাল’-এর ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ব্রিটেনের রাজপরিবারে তৈরি হয়েছে সঙ্কট। যা মেটানোর জন্য সোমবার হ্যারিকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন স্বয়ং রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ, হ্যারির বাবা যুবরাজ চার্লস এবং দাদা রাজকুমার উইলিয়াম। পূর্ব ইংল্যান্ডের নরফোকের স্যানড্রিংহ্যাম এস্টেটে ওই বৈঠক হওয়ার কথা বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম। কানাডা থেকে কনফারেন্স কলে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা হ্যারির স্ত্রী মেগানের।
হ্যারিদের এই সিদ্ধান্তে তাঁর দাদা উইলিয়াম ব্যথিত বলে জানা গিয়েছে রাজপরিবারের একটি সূত্র মারফত। ওই সূত্রটি ব্রিটেনের একটি দৈনিককে জানিয়েছেন, উইলিয়াম তাঁকে বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ সময় ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে এসেছি। আর সেটা করতে পারছি না। আমরা সম্পূর্ণ পৃথক দু’টো মানুষ।’’
এর পরে উইলিয়াম নাকি বলেছিলেন, ‘‘সব মিলিয়ে আমি ব্যথিত। আমরা ওদের সমর্থন করতে পারি শুধু। তবে আশা রাখি, আবার আমরা সবাই একসঙ্গে গান গাইব। সবাই এক দলের হয়ে খেলব।’’ হ্যারির সঙ্গে মেগানের বিয়ের আগে পর্যন্ত অবশ্য দুই ভাইয়ের নৈকট্য নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি।
গত বুধবার হ্যারি-মেগান ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর থেকে নানা ধরনের জল্পনা-আলোচনা চলেছে রাজপরিবারের অন্দরে।
রাজপরিবারের সদস্যদের কর্মজীবন এবং ভূমিকায় কোনও পরিবর্তন ঘটলে জটিল ও সুচিন্তিত আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করতে হয়। রানির ভূমিকা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ। হ্যারি-মেগান তাঁদের সিদ্ধান্ত জানানোর পরে এই প্রথম মুখোমুখি রানির সঙ্গে কথা হবে হ্যারির। মেগান বলবেন ফোনে। আট মাসের ছেলে আর্চিকে সঙ্গ দিতে তিনি কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে মায়ের কাছেই রয়েছেন। আবার কবে তিনি ব্রিটেনে ফিরে আসবেন, তা এখনও অস্পষ্ট।
চার্লসের এস্টেট থেকে কী পরিমাণ অর্থ এর পরেও পাবেন হ্যারিরা, তাঁদের খেতাবের ক্ষেত্রে কী হবে, এবং কী ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তি তাঁরা করতে পারবেন— রানির সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এমন সব বিষয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে জল্পনা, রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়ালে চার্লস আর তাঁর এস্টেটের অর্থ হ্যারি-মেগানদের দেবেন না। তবে হ্যারি-মেগানও অর্থের জন্য বিরাট অসুবিধেয় পড়বেন, এমনটা একেবারেই মনে করছেন না বিশেষজ্ঞেরা। ‘সাসেক্স রয়্যাল’ ব্র্যান্ডনেম থেকে উপার্জন ভালই করতে পারবেন তাঁরা। গত বছর জুনে এই ব্র্যান্ডের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদনও করেছেন তাঁরা। তবে এতে একটি আইনি জটিলতা রয়েছে। কারণ তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে।