বেয়ান-বেয়াই: যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে ডোরিয়া রাগল্যান্ড। রয়টার্স
তাঁর জন্যই মেগানকে জীবনে পেয়েছেন। তাঁর অনুমতি না পেলে চার হাত এক হত না তাঁদের। বিয়ের দিন দুপুরে মেগান মার্কলের মা ডোরিয়া র্যাগল্যান্ডকে এ ভাবেই ধন্যবাদ জানালেন রাজকুমার হ্যারি। দর্শকাসনে বসে তখন কান্না চাপছিলেন মেয়ের মা।
বিয়ের পরে ডিউক অব সাসেক্সের এটাই ছিল প্রথম বক্তৃতা। যাতে মেগানের ঢালাও প্রশংসার মাঝে জায়গা করে নেন তাঁর মা ডোরিয়া। ডোরিয়ার পাশের আসন ছিল ফাঁকা। যেখানে থাকার কথা ছিল মেগানের বাবা টমাস মার্কলের। মেগান আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার হওয়ায় বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বাবা। রাজপরিবারের সিদ্ধান্তে টমাসের আসনে বসেননি অন্য কেউ। টমাস না থাকায় বিয়ের দিন মেগানকে গির্জার পথটুকু নিয়ে যান ভাবী শ্বশুরমশাই চার্লস। এ ভাবে আগাগোড়াই মেগানের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছে রাজপরিবার। অনুষ্ঠানের শেষে স্ত্রী ক্যামিলা ও ডোরিয়ার হাত ধরে বেরিয়ে আসেন চার্লস। ঘনিষ্ঠরা বলছেন, শুধু মেগান নন, ডোরিয়াও যে তাঁদের হৃদয়ের কতটা কাছে, তা ফুটে উঠেছে এই ছবিতে।
অতিথিদের এক জন জানাচ্ছেন, মেগানের প্রশংসায় কোথাও ফাঁক রাখেননি হ্যারি। শুরুতেই তাঁকে ‘আমার স্ত্রী’ বলে সম্বোধন করেন রাজকুমার। উইনসর প্রাসাদের মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৬০০ অতিথি তখন ফেটে পড়েছিলেন হাততালিতে। বক্তৃতা শেষে হ্যারি বলেন, ‘‘এখানে কে পিয়ানো বাজাতে পারেন?’’ এগিয়ে আসেন এলটন জন। হ্যারির মা ডায়ানার বন্ধু ছিলেন তিনি। শুরু হয় একের পর এক গান— ইয়োর সং, সার্কেল অব লাইফ, আই অ্যাম স্টিল ডান্সিং। নববধূর জন্য ‘টাইনি ডান্সার’ গানটি লিখেছেন এলটন জন।
আরও পড়ুন: হুইটনির সুরে সুরে পা মেলালেন মেগান-হ্যারি
বক্তৃতা দেন যুবরাজ চার্লসও। তাঁর স্মৃতিচারণ ছিল হাস্যরসে টইটম্বুর। চার্লস জানান, হ্যারির ন্যাপি বদলানোর চেষ্টায় কখনওই সফল হননি তিনি। আজ হ্যারিকে এত বড় দেখে সে কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে।
কাল বাকিংহাম প্রাসাদে যুবরাজ চার্লসের ৭০ বছরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আবার একসঙ্গে দেখা যাবে ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্সকে।