নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
রবিবার মেগা শো। ‘হাউডি-মোদী’ সভা ঘিরে পারদ চড়ছে অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে। ঐতিহাসিক সেই সমাবেশে যোগ দিতে শনিবার রাতেই হিউস্টনে পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে নরেন্দ্র মোদী। হিউস্টনে সমাবেশ ছাড়াও নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দেবেন তিনি।
এ দিনের অনুষ্ঠানের আগে টুইটে একটি বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হিউস্টনের বাসিন্দাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘হাউডি হিউস্টন! হিউস্টনে এখন উজ্জ্বল বিকেল। এই গতিশীল ও প্রাণবন্ত শহরে একটি বড়সড় অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা করছি।’
এ দিনের মঞ্চ থেকে আধ ঘণ্টা বক্তৃতা দেওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও। মার্কিন প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, ট্রাম্পের বক্তৃতা দুই গণতান্ত্রিক দেশের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে নতুন উদ্যম এনে দেবে।
আরও পড়ুন: ভোটের টানে ‘হাউডি’তে ট্রাম্প, মোদীর পরে কথা ইমরানের সঙ্গে
শহরের ৫০ হাজার আসনের এনআরজি স্টেডিয়ামে হবে ওই সমাবেশ। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন একাধিক মার্কিন সাংসদ, বিশিষ্ট ইন্দো-আমেরিকানরাও। মঞ্চে থাকবেন ৪০০ জন শিল্পীও। এর মধ্যেই অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা ‘টেক্সাস ইন্ডিয়া ফোরাম’ দাবি করেছে, স্টেডিয়ামের একটিও আসন খালি থাকছে না। এমনকি স্টেডিয়ামের বাইরেও ভিড় থাকবে বলে উদ্যোক্তাদের দাবি। ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা, এই তিন ঘণ্টা ধরে চলবে অনুষ্ঠান।
‘হাউডি মোদী’ সমাবেশের আগেই ‘বিশেষ ঘোষণা’ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মনে করা হচ্ছে, ভারতকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকেই মোদী সরকারকে ‘ধাক্কা’ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স বা জিএসপি প্রকল্পে ভারতকে দেওয়া ‘সুবিধা’ প্রত্যাহার করে নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতকে ফের ওই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা করতে পারেন ট্রাম্প।
হিউস্টনে পৌঁছে এ দিন মার্কিন শক্তি সংস্থাগুলির প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠক ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার।
আরও পড়ুন: জনমত সমীক্ষায় হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে এগিয়ে বিজেপি
কূটনৈতিক মহলের মতে, ‘হাউডি-মোদী’ অনুষ্ঠানের মঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর সাক্ষাৎ কূটনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, তার পরের দিনই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার মোদীর সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায় ইমরান খান যে কাশ্মীর নিয়ে ‘ঝড়’ তোলার চেষ্টা করবেন তা ইসলামাবাদের মনোভাবেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের সেই যুক্তিকে খারিজ করে দিয়ে, সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি হানা নিয়ে সুর চড়াতে পারে ভারতও।