রাজ কপূর ও দিলীপ কুমার।
পেশোয়ার শহরেই দু’টি বাড়ি। একটি রাজ কপূরের পারিবারিক হাভেলি ও জন্মস্থান, অন্যটি দিলীপ কুমারের। দেশভাগের পরে দুই শিল্পী ভারতে চলে এসে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয়ে মন কেড়েছেন। বাড়ি দু’টি কিনে নিয়ে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক সরকার। স্মারক ভবন তৈরি করা হবে অট্টালিকা দু’টিকে। সরকারের পুরাতত্ব বিভাগের উপরে দায়িত্ব পড়েছে জীর্ণ বাড়ি দু’টিকে সংরক্ষণের। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ করা হয়েছে। এক কর্তাকে বাড়ি দু’টির হাল দেখে এসে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
পেশোয়ারের কিসা খোয়ানি বাজারেই দু’টি বাড়ি। একে তো ভগ্নপ্রায় অবস্থা, তার উপরে বিপজ্জনক ভবন বলে পুরসভা ভেঙে ফেলতে চায়। দিলীপ কুমারের পারিবারিক বাড়িটির অবস্থা বেশি খারাপ। ২০১৪-য় বাড়িটিকে জাতীয় ঐতিহ্যবাহী ভবন বলে ঘোষণা করেছিল নওয়াজ় শরিফ সরকার। কিন্তু তার পরেও বিপদ কাটেনি। বাড়িটির দখলদারেরা প্রোমোটারের সঙ্গে মিলে সেটি ভেঙে ফেলে সেখানে নতুন অট্টালিকা তুলতে চান। পুরাতত্ত্ব বিভাগ এখন সেটি সংরক্ষণে উদ্যোগী হওয়ায় তাঁরা ক্ষতিপূরণ চাইছেন।
কপূর হাভেলি
অল্প দূরেই কপূর হাভেলি। ১৯১৮ থেকে ১৯২২-এর মধ্যে তৈরি এই বাড়িতেই জন্ম রাজ কপূরের। মৃত্যুর আগে ঋষি কপূর পাকিস্তান সরকারকে চিঠি দিয়ে বাড়িটি সংস্কার করে জাদুঘর তৈরির প্রস্তাব দেন। পাক সরকার তা গ্রহণ করেছে। বাড়ির বর্তমান মালিক আলি কাদের জানিয়েছেন, কপূর হাভেলি ভেঙে ফেলার কোনও ইচ্ছা তাঁর নেই। কিন্তু বাড়িটি পেশোয়ারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত হওয়ায় তার দাম অনেক। সরকার চাইলে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দিতে তৈরি, কিন্তু তার জন্য অন্তত ২০০ কোটি টাকা তাঁর চাই। সরকার অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, বাড়ি দু’টির মালিকের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসবেন। সিদ্ধান্ত যখন হয়েছে, সেই মতো এগোনো হবে।