ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। —ফাইল চিত্র।
উপনির্বাচনে ধাক্কা খেল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দল কনজ়ারভেটিভ পার্টি। মোট তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে দু’টিতেই পরাস্ত হয়েছে সুনকের দল। ওই দুই কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে লেবার পার্টি এবং অন্যটিতে লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জয়ী হয়েছে। তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কেন্দ্র আক্সব্রিজে কোনওক্রমে জয় পেয়েছে শাসক দল।
সমারসেট অ্যান্ড ফ্রোম কেন্দ্রে ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে শাসক দল কনজ়ারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে দখল করেছে লিবারাল ডেমোক্র্যাটরা। ২৯ শতাংশ ভোট শাসকের থেকে জয়ী প্রার্থীর ঝুলিতে গিয়েছে। এই কেন্দ্রে জিতেছেন লিবারাল প্রার্থী সারা ডাইক। মোট ২১ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়েছেন তিনি। ভোটের ফল বেরোনোর পরেই জয়ী দলের নেতা এড ডেভি জানিয়েছেন, এই ফলাফলেই স্পষ্ট যে, ওয়েস্ট কাউন্টিতে লিবারাল ডেমোক্র্যাটের উত্থান হচ্ছে।
অন্য দিকে নর্থ ইয়র্কশায়ারের সেলবি অ্যান্ড আইনস্টি কেন্দ্রে ২০ হাজার ১৩৭ ভোটে জিতে ইতিহাস তৈরি করল লেবার পার্টি। ১৯৪৫ সালের উপনির্বাচনে কনজ়ারভেটিভ পার্টির সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের নজির ভেঙে দিয়েছেন লেবার পার্টির কায়ার মাথের। ২৫ বছর বয়সি এই এমপি-ই এই মুহূর্তে কনিষ্ঠতম। ২০১০ সাল থেকে এই কেন্দ্রে জিতছে কনজ়ারভেটিভ পার্টি। শাসক দলের এমন এক দুর্গে ফাটল ধরানোয় রীতিমতো উল্লসিত লেবার পার্টির কর্মী-সমর্থকেরা। উল্লেখযোগ্য, এই কেন্দ্রটি প্রধানমন্ত্রী ঋষির রিচমন্ড কেন্দ্রের কাছেই। উপনির্বাচনে সেখানে ভোটারদের মনবদল ঋষিকেও তাঁর কেন্দ্রে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। এই কেন্দ্রে জয় পেলেও বরিসের কেন্দ্রে সামান্য ভোটে হারের জেরে বেশ হতাশ লেবার পার্টির নেতৃত্ব। এই কেন্দ্রে মাত্র ৪৯৫ ভোটে জিতেছেন কনজ়ারভেটিভ পার্টির প্রার্থী স্টিভ টাকওয়েল। বরিসের আক্সব্রিজে এ বার স্থানীয় বিষয় নিয়েই প্রচার চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এ ক্ষেত্রে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিল ‘আলট্রা লো এমিশন জ়োন’-এর ক্ষেত্রে মাশুল বৃদ্ধি। লন্ডনের মেয়র সাদিক খান পুরনো ও অধিক দূষণ ছড়ানো গাড়ির ক্ষেত্রে এই খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তা কার্যকর হতেই বিরোধিতা করেন ছোট ব্যবসায়ীরা। এ বার ভোটে তারই প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রেও শাসক দল হেরে গেলে আরও অস্বস্তিতে পড়তেহত সুনকদের।