ছবি: এএফপি।
জোড়া ধাক্কার মুখে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দুর্নীতি এবং বিশ্বাসভঙ্গ সংক্রান্ত দু’টি মামলায় পুলিশ তাঁকে অভিযুক্ত ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে। যদিও নেতানিয়াহু তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পুলিশ সব অভিযোগ অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে জমা দেবে। প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন অ্যাটর্নি জেনারেলই।
১৪ মাসের দীর্ঘ তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি পৃথক মামলায় ঘুষ নেওয়া, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। তার যথেষ্ট প্রমাণও তাদের কাছে আছে বলে দাবি পুলিশের। ৬৮ বছর বয়সি প্রধানমন্ত্রী ১২ বছর ধরে ক্ষমতায়। ইজরায়েলি এক দৈনিকে লেখা হয়েছে, দুর্নীতির যে দু’টি মামলায় নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে, তার একটি ‘কেস ১০০০’ এবং অন্যটি ‘কেস ২০০০।’ ইজরায়েলি ধনকুবের ব্যবসায়ী ও হলিউড প্রযোজক আরনন মিলচ্যানের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী অন্তত তিন লক্ষ ডলারের উপহার পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রথম মামলায়। দৈনিকের বক্তব্য, মিলচ্যানকে মার্কিন ভিসা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্যাম্পেন, সিগার এমন উপঢৌকন নিয়েছেন নেতানিয়াহু। এক বার কর-ছুটি এগিয়ে এনেও মিলচ্যানের সুবিধা করে দেন তিনি। পুলিশের দাবি, অভিযোগ আনা হবে মিলচ্যানের বিরুদ্ধেও। এই মামলার সূত্রে ভারতীয় শিল্পপতি রতন টাটার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও টাটার দফতর থেকে বলা হয়েছে, এই উল্লেখ পুরোপুরি ভুল।
দ্বিতীয় মামলায় দাবি, ‘ইয়েদিওত আহারনত’ নামে দৈনিকের সম্পাদক আরনন মোজেসের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয় প্রধানমন্ত্রীর। মোজেসের কাছ থেকে তাঁর কাগজে সরকারের ইতিবাচক প্রচারের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেতানিয়াহু ওই কাগজটির প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীকে সাহায্য বন্ধ করার আশ্বাস দেন। তাই অভিযোগ আনা হবে আরনন মোজেসের বিরুদ্ধেও।