—প্রতীকী চিত্র।
গত বুধবার সন্ধ্যায় আমেরিকার মেন প্রদেশের লুইসটন শহরের দু’টি জায়গায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ১৮ জনকে মেরে ফেলেছে সে। তার বন্দুক হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। সেই হামলার পরে দু’দিন কাটতে চলল। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সেই খুনি বন্দুকবাজ রবার্ট কার্ডকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত পরশু সন্ধেবেলা হামলা চালানোর পর থেকেই নিখোঁজ বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। বেশ অনেকগুলি ধারায় খুনের মামলাও যোগ হয়েছে তার নামে। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যথেষ্ট কঠিন কাজ বলে মনে করছেন খোদ পুলিশকর্তারাই। তার অন্যতম কারণ হল অভিযুক্ত কার্ড আমেরিকার সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য। নিজেকে লুকিয়ে রাখার অনেক ধরনের কারসাজি সে জানে বলে বক্তব্য পুলিশের। এর পাশাপাশি কার্ড এক জন আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষকও। ফলে তাকে যত ক্ষণ পর্যন্ত খুঁজে না পাওয়া যাচ্ছে, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কার্ডের সঙ্গে এখনও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে।
আপাতত মেন প্রদেশের ৭০০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে কার্ডের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মূলত দু’টি এলাকার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। জায়গা দু’টি হল অ্যান্ড্রোস্কগিন এবং নর্দার্ন স্যাগাডাহক কাউন্টি। দ্বিতীয় এলাকাটির আওতায় কার্ডের নিজের শহর বডিন-ও পড়ে। কার্ডের মোবাইল ফোনটি আগেই উদ্ধার হয়েছিল। আজ সকালে উদ্ধার হয়েছে তার গাড়িটিও। বর্তমান সময়ে যে কোনও তদন্তে পলাতক অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে মূলত মোবাইল ফোনের লোকেশন পুলিশকে অনেকটাই সাহায্যে করে থাকে। কার্ড নিজের মোবাইলটি সঙ্গে না নেওয়ায় তাকে ধরা আরও মুশকিল হবে বলে মত পুলিশকর্তাদের। তাঁদের আরও দাবি, ফোনের লোকেশন ধরে তাকে যাতে ধরা না যায়, তাই ইচ্ছে করেই ফোনটি ফেলে গিয়েছে ওই বন্দুকবাজ।