নরেন্দ্র মোদী।
ভারত-জাপান ‘সম্বাদ’ সম্মেলনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুদ্ধের শরণ নিলেন। ‘মানবতা’, ‘সহনশীলতা’, ‘অহিংসার প্রচার’ ও ‘প্রসারের’ জন্য গৌতম বুদ্ধের দর্শনের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ভারত থেকেই বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যাওয়ার কথা। তাঁর প্রস্তাব, ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ সাহিত্য এবং ধর্মগ্রন্থের একটি গ্রন্থাগার তৈরি করা হোক। এ কাজে ভারত নিজেকে সংযুক্ত করতে চায় বলে জানিয়েছেন মোদী। তাঁর মতে, “বৌদ্ধ সাহিত্যে ও দর্শনের মূল উপাদানটি সামগ্রিক ভাবে মানবজাতির কাছে ধন-দৌলতের সমান।” গ্রন্থাগারটি বিভিন্ন দেশ থেকে এই জাতীয় সমস্ত বৌদ্ধ সাহিত্যের ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করবে।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এশিয়ায় সাংস্কৃতিক আধিপত্য বজায় রাখতে ভারত ও চিনের অন্যতম প্রিয় হাতিয়ার বুদ্ধ। বিভিন্ন সম্মেলনে অর্থ দেওয়া, ধর্মস্থানগুলি সাজিয়ে তোলা, বৌদ্ধপ্রধান দেশগুলিতে দেহাবশেষের প্রদর্শনী করার ব্যাপারে বরাবরই এগিয়ে ভারত। এর আগে মায়ানমারে ভারত যৌথ ভাবে তিন দিনের বৌদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করে। চিনের সঙ্গে টক্কর দিতে এবং মায়ানমারকে কাছে টানতেই ছিল এই পদক্ষেপ। এই মতও রয়েছে যে বৌদ্ধধর্মকে নিয়ে ভারত এবং চিনের মল্লযুদ্ধ একটি ভিন্ন ঠান্ডা যুদ্ধের জন্ম দিতে পারে, যার সঙ্গে বাণিজ্যিক স্বার্থও জড়িত। বেজিংয়ের অভিযোগ, চিনের উপরে চাপ বাড়াতে ভারত দীর্ঘদিন ধরে নির্বাসিত তিব্বতি সরকারকে উস্কানি দিয়ে আসছে।