India-China

কাঁটা চিন, এসসিও কি এড়াতে চলেছেন মোদী

গত বছর এসসিও-র সভাপতিত্ব করেছিল ভারত। যদিও বৈঠকটি হয় ভিডিয়ো মাধ্যমে। তার আগের বছর সমরখন্দের এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ০৭:৪৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

চিনের সঙ্গে সম্পর্কের শৈত্যের কারণে আগে ঘোষণা করেও শেষ পর্যন্ত ৩ জুলাই শুরু হওয়া দু’দিনের এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান থেকে পিছিয়ে আসার সম্ভাবনাই বেশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কূটনৈতিক সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। কাজ়াখস্তানে চিনের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার কথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, এই সময়ে সংসদ চলবে বলে দেশ ছাড়া সম্ভব হবে না মোদীর। যদিও সংসদ শেষ হচ্ছে ৩ জুলাই। এর আগেও বহু বার সংসদ চলাকালীন বিদেশ সফরে যেতে দেখা গিয়েছে মোদীকে।

Advertisement

গত বছর এসসিও-র সভাপতিত্ব করেছিল ভারত। যদিও বৈঠকটি হয় ভিডিয়ো মাধ্যমে। তার আগের বছর সমরখন্দের এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু সেখানে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হয়নি তাঁর।

সাউথ ব্লক সূত্রে জানানো হয়েছিল, এ বার এসসিও-তে গিয়ে রাশিয়া, চিন, ইরানের নেতাদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করে এই অস্থির ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে বিশ্বমৈত্রীর সন্ধান দেবেন মোদী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি খুব অনুকূল নয় বলেই এখন মনে করা হচ্ছে। পাঁচ বছরেও পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের সমাধান হয়নি। সম্প্রতি আমেরিকার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বেজিংয়ের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রবল সংঘাত তৈরি হয়েছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামাকে কেন্দ্র করে। আমেরিকান কং‌গ্রেসের নিম্নকক্ষের প্রাক্তন স্পিকারের নেতৃত্বাধীন ওই দলটি শুধুমাত্র দলাই লামার সঙ্গে দেখাই করেনি, ধরমশালা থেকে চিন-বিরোধী বিবৃতি দিয়ে নয়াদিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠকও করেছে। তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শি জিনপিং সরকার।

Advertisement

সম্প্রতি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণমূলক বৈঠকে যোগ গিতে ইটালি সফরে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে তাঁর পৃথক ভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর চিন-বিরোধী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে। এর পরে নতুন এনডিএ সরকার যথাক্রমে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বৈঠক করে চিনের স্বার্থে ঘা লাগতে পারে এমন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। ঢাকার সঙ্গে তিস্তা মহাপ্রকল্পে সহায়তার সূচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী, যার দিকে নজর ছিল চিনের। আবার বিদেশমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম সফরে কলম্বো গিয়ে জয়শঙ্কর সে দেশের সঙ্গে 'মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার'-এর ঘোষণা করেছেন যা শ্রীলঙ্কা ভারতের যৌথ নৌসেনা প্রকল্প। স্বাভাবিক ভাবেই যা ভাল লাগার কথা নয় বেজিংয়ের।

সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে আপাতত চিনের সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ে সম্মুখ সাক্ষাৎকে এড়িয়ে যাওয়ার নীতি নিতে চলেছে সাউথ ব্লক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement