মোসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী। ফাইল চিত্র
তেরো বছরের মোশে জাভি হোলৎসবার্গকে চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিন্দুদের যেমন উপনয়ন। ইহুদিদের তেমন বার-মিৎসবা। যে অনুষ্ঠানের পরে ইহুদি ধর্মমতে বালকদের কাজের দায় নিতে হয় নিজেকেই। বাবা-মায়ের আর দায় থাকে না। দাদু জানিয়েছিলেন মোশের বার-মিৎসবা মুম্বইয়ে গিয়ে করানোর ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ২৮ নভেম্বর নিজের দেশেই হল সেই অনুষ্ঠান। তার আগের দিন মোশেকে চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যার গোড়াতেই রয়েছে, ‘‘ভারত থেকে সলোম ও নমস্তে (শান্তি ও নমস্কার)। জীবনের নতুন পর্বে প্রবেশের এই পর্বে সান্দ্রার (সান্দ্রা স্যামুয়েল, যে পরিচারিকা বুকে আগলে বাঁচিয়েছিলেন দু’বছরের মোশেকে) সাহস ও প্রার্থনা, ভারতবাসীর আশীর্বাদ তোমার সঙ্গে রয়েছে।... তোমার জীবনের ঘটনা এখনও প্রত্যেককে অনুপ্রেরণা জোগায়।’’ ইজ়রায়েলে ভারতের দূত সঞ্জীব সিংলা চিঠিটি মোশেকে পড়ে শুনিয়েছেন।
ইজ়রায়েলের এই বালক বাবা-মাকে হারিয়েছিল মাত্র দু’বছর বয়সে। মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলায়। তার পর থেকে ভারতের সঙ্গে যোগটা রয়েই গিয়েছে মোশের। মোদী ২০১৭-য় ইজ়রায়েলে গিয়ে বুকে টেনে নিয়েছিলেন এই বালককে। যখন খুশি যাতে সে ভারতে যেতে পারে তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ‘মাল্টি-এন্ট্রি’ ভিসার ব্যবস্থা করা হয়। পরের বছর দাদুর সঙ্গে মোশে গিয়েছিল মুম্বইয়ের চাবাড হাউসে, যেখানে জঙ্গিদের হাতে মারা গিয়েছিলেন তার বাবা-মা। মোশে জানিয়েছিল, এক দিন সে ওই চাবাড হাউসের ডিরেক্টর হয়ে ফিরতে চায়।