কারখানার ছাড ফুটো করে ঢুকে গিয়েছে বিমান। ছবি: সংগৃহীত।
কাজ়াখস্তান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পর এ বার ক্যালিফর্নিয়া। বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দু’জনের। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আহতের সংখ্যাও অনেক। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে লস অ্যাঞ্জেলসের দক্ষিণ-পূর্বে ৪০ কিলোমিটার দূরে ফুলারটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরের কাছে একটি কারখানার উপর ভেঙে পড়ে যাত্রিবাহী ছোট বিমান। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে দমকল। দুর্ঘটনার পরই করাখানায় আগুন ধরে যায়।
ফুলারটন পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে। কারখানার ছাদের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিমানে কত জন যাত্রী ছিলেন তা স্পষ্ট নয়। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে এবং যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁরা কি বিমানের যাত্রী, না কি কারখানার কর্মী, সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা চলছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ‘ফ্লাইঅ্যাওয়ার’-এর তথ্য বলছে, বিমানটি আকারে ছোট। যাত্রীসংখ্যাও বেশি ছিল না। ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। গত ডিসেম্বরেই কাজ়াখস্তানে ভেঙে পড়েছিল আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। সেই ঘটনায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার কয়েক দিন পরেই আবার দক্ষিণ কোরিয়ায় ভেঙে পড়ে জেজু এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। সেই ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পর পর বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ক্যালিফর্নিয়ায় ভেঙে পড়ল বিমান।