কথিকা পাল। —ফাইল চিত্র।
সপ্তপুরী, সপ্তসিন্ধু, সপ্তলোক, সাত কাণ্ড রামায়ণ। সাতে ভুবন ভরা।
আমরা হঠাৎ ‘সাত’-এর গুণ গাইছি কেন? কারণ, সাত সমুদ্রের ও-পারে ২০১৭ সালে বেঙ্গলি কালচারাল সোসাইটি, সাউথ সুইডেনের উদ্যোগে হেলসিংবর্গে যে দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছিল, সেই প্রাণের পুজো এই বছর পায়ে পায়ে পৌঁছে গিয়েছে সপ্তম বছরে।
বাংলা, বিহার, ওড়িশা, অসম, মণিপুর, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ড, এই সাত রাজ্যকে নিয়ে আমাদের এ বছরের থিম ‘সাতকাহন’। মণ্ডপ সেজে উঠেছে এই ৭ রাজ্যের বৈচিত্রময় সরঞ্জামে। তা ছাড়া থাকবে এই ৭ রাজ্যের ৭ কাহিনি, নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি। মায়ের ভোগেও থাকবে সপ্তপদ। বাঙালি পুজো কি কখনও পেটপুজো ছাড়া হয়? তাই পুজোর তিন দিন আমরা থাকব সাতে পাতে, মানে কম-বেশি সপ্তব্যঞ্জন থাকছে খাবারের সূচিতে। থাকছে লাইভ লুচি কাউন্টার, ঘরে তৈরি বাঙালি মিষ্টি আর হরেক রকম ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার।
শুধু মাতৃ-আরাধনাই নয়, প্রতি বার আমাদের চেষ্টা থাকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এমন কোনও বার্তা পরিবেশন করার, যা তাদের জীবনধারণের পাথেয় হয়ে উঠতে পারে। এই বার আমাদের সেই বার্তা— ‘সাথে থাকো সাতে’। বিভিন্নতার মাঝে একতাকে আপন করে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হবে পুজোর প্রতিটি পদক্ষেপে। প্রতি বছরের মতো এ বারও সিঁদুর খেলা, দেবীবরণ ও বিসর্জনের নাচে দু’পার বাংলার বাঙালিদের সঙ্গে যোগ দেবেন অন্য প্রদেশের ভারতীয়েরা। অন্যান্য প্রদেশের ভারতীয় ও বিদেশিদের উপস্থিতিতে উৎসব প্রাঙ্গণ হয়ে উঠবে সত্যিকারের বিশ্বায়নের প্রতিচ্ছবি।