গাছের কাছে। —নিজস্ব চিত্র।
রাজার পছন্দের রং সবুজ। নিজে প্রতিদিন গাছ লাগান। কেউ গাছ ভালবাসলে রাজার মন ছুঁতে পারেন তিনি।
ভুটানের এ হেন রাজা জিগমে খেসর নামগিল ওয়াংচুকের কাছে খবর পৌঁছেছিল পশ্চিমবঙ্গের একটি মোটরবাইক আরোহী দল বৃক্ষ রোপণ করতে করতে ভুটান পর্যন্ত এসেছে। গত ৮ অক্টোবর ভুটানের সঙ্গে এ রাজ্যের সেতুবন্ধন করতে ব্যারাকপুর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন ওঁরা।
দলটি তিন বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে পুষ্পিতা প্রকল্প নাম দিয়ে বৃক্ষরোপণের কাজ করে আসছে। কন্যাসন্তান জন্মালে গাছ লাগানোর ওই প্রকল্পটি বর্তমানে রাজ্য সরকার সবুজশ্রী প্রকল্পের আওতায় ‘পুষ্পিতা সবুজশ্রী প্লাস’ নামে অন্তর্ভুক্ত করেছে। গত বছর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে কন্যাসন্তানের জন্ম হলে ১১টি গাছ লাগানোর কর্মসূচি নিয়ে সেটির শুভ সূচনা হয়।
বুধবার থিম্পুতে পৌঁছনোর পর রাজার সচিবালয় থেকে ফোন করে আরোহীদের জানানো হয়, রাজা ওই প্রকল্পকে সম্মান জানাতে চান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজপ্রাসাদের কাছে এক হোটেলে চায়ের আমন্ত্রণ জানানো হয় আরোহীদের। রাজার ব্যক্তিগত সচিব চোকি চোমো, সেনেটসচিব থিনলে দর্জি-সহ রাজপরিবারের সদস্যরা আরোহীদের অভিনন্দন জানান। আরোহীরাও রাজার জন্য দু’হাজার মেহগনি গাছের বীজ এবং দেশের পতাকা তুলে দেন রাজ প্রতিনিধিদের হাতে।
সেনেটসচিব পরে বলেন, ‘‘শুক্রবারই প্রাসাদ চত্বরে রাজা নিজে এই মেহগনির বীজ রোপণ করবেন।’’ আগামী বছর ভারত ও ভুটান সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন হবে। রাজা তারও সূচনা হবে বৃক্ষরোপণেই। চোকি বলেন, ‘‘ভুটান পরিবেশ রক্ষায় সবথেকে বেশি নজর দেয়। আমরা চাই পশ্চিমবঙ্গও এগিয়ে আসুক। আমরা সব রকম সাহায্য করতে তৈরি।’’