—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পঠানকোট হামলার মূল চক্রী খুন হয়ে গেলেন পাকিস্তানে। বুধবার সকালে পাকিস্তানের শিয়ালকোটে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য শাহিদ লতিফকে। দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ছিল লতিফের।
২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি বায়ুসেনার পঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় জইশ জঙ্গিদের একটি দল। তদন্তে উঠে আসে এই হামলার নেপথ্যে ছিলেন লতিফ। তিনিই পরিকল্পনামাফিক জইশ জঙ্গিদের এই অভিযানে পাঠিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, ১৯৯৪ সালেও জঙ্গিযোগের অভিযোগে ইউএপিএ-তে গ্রেফতার করা হয়েছিল লতিফকে। ২০১০ সালে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে তাকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
১৯৯৯ সালেও লতিফের বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স’-এর একটি বিমান ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র তদন্তে উঠে আসে যে, পাকিস্তানে ফেরার পরেই নতুন করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে সে।
অক্টোবরের গোড়াতেই মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের অন্যতম সহযোগীকে খুন করা হয়েছিল পাকিস্তানে। সে দেশের উপকূলবর্তী শহর করাচিতে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ওই জঙ্গিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। মুহূর্তের মধ্যেই লুটিয়ে পড়ে মুফতি কায়সের ফারুক নামের ওই জঙ্গি। পরে তার মৃত্যু হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আর এক জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের কম্যান্ডার বশির পীরকে রাওয়ালপিন্ডির আইএসআই সদর দফতরের সামনেই গুলি করে খুন করা হয়। গত অক্টোবরেই বশিরকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে ধরার চেষ্টাও চলছিল কাশ্মীরে।