ফিট থাকতে কোন ৫ ভুল এড়িয়ে চলবেন? ছবি: শাটারস্টক।
পুজো আসতে আর ঠিক দশ দিন বাকি। পাড়ার জিমগুলিতে এখন পা ফেলার জায়গা নেই। কেউ ওজন ঝরাতে ব্যস্ত তো কারও চাই পেশিবহুল চেহারা। ফিট থাকতে ব্যায়াম যেমন জরুরি, ঠিক তেমনই ভারী শরীরচর্চার পর আপনি কী করছেন, সেটাও নজরে রাখতে হবে। জেনে নিন, ওজন ঝরানোর সময়ে কেন শরীরচর্চাতেই থেমে থাকলে চলবে না, তার পরে কোন গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।
জল খাওয়ার অভ্যাস: শরীরচর্চা করার পর শরীর থেকে অনেকটা জল ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়, এ ক্ষেত্রে শরীরে জলের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই শরীরচর্চা করার কিছু ক্ষণ পর ভাল করে জল খাওয়া জরুরি। দিনে অন্তত আড়াই থেকে তিন লিটার জল খাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার অভ্যাস: শরীরচর্চার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে। শরীর চাঙ্গা রাখতে ব্যায়ামের ৪৫ মিনিট পর স্বাস্থ্যকর কিছু স্ন্যাকস খেতে পরেন। এ ক্ষেত্রে মূলত প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর খাবার খাওয়াই ভাল। কার্বোহাইড্রেট শরীরে শক্তির সঞ্চার করবে আর প্রোটিন পেশির গঠণ মজবুত করতে সাহায্য করবে।
ছুটির দিনেও হালকা ব্যায়াম: সপ্তাহে সাত দিনই ভারী শরীরচর্চা না করে ফিটনেসবিদেরা সপ্তাহে এক থেক দু’দিন বিশ্রামম নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে বিশ্রামের দিনগুলিতে যোগাসন, সাঁতার, হাঁটাহাঁটির মতো হালকা ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। তবেই আপনি মনের মতো ফলাফল পাবেন।
শরীর শান্ত হতে সময় দিন: ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করার পর হৃদ্স্পন্দন অনেক বেড়ে যায়। তাই শরীরকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি আসার সমটুকু দিতে হবে। জিম সেরেই তড়িঘড়ি অফিসের জন্য ছুটলে হবে না। অন্তত ৫ মিনিট শবাসন করে তার পরেই জিম থেকে বেরোতে হবে।
খাবারে নজর: জিম করছেন আবার ডায়েটেও কড়াকড়ি করছেন? এতে কিন্তু বিপদে পড়বেন। শরীরচর্চা করতে হলে শরীরে পুষ্টিকর খাবারের জোগান থাকা জরুরি। সে ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট নির্ভর না হয়ে রোজের খাবারে কী কী রাখলে ভাল হয়, পুষ্টিবিদের কাছ থেকে সেই পরামর্শ নিন।