সব মিলিয়ে মেরেকেটে ঘণ্টা দেড়েক। তার মধ্যেই নিখুঁত পরিকল্পনা করে, একেবারে ঠান্ডা মাথায় একের পর এক হামলা চালাল জঙ্গিরা। প্রথমে স্টেডিয়াম, তার পরে একে একে পানশালা, রেস্তোরাঁ, শপিং সেন্টার— বাদ গেল না কিছুই। এত বড় মাপের হামলা চালাল যারা, তারা জানতই যে পালানো কার্যত দুঃসাধ্য! আত্মঘাতী হামলা যারা চালাতে আসে তারা পালাতে চায়ও না। ঘটনাবলি ইঙ্গিতও দিচ্ছে সে দিকেই। যে ৮ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে ৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে। বাকি এক জনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের গুলিতে।
ভয়াবহ জঙ্গিহানার পরেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা ফ্রান্সকে। পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, তার খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। হামলার পর থেকে যে ভাবে এগিয়েছে পরিস্থিতি।
টাইম লাইন (ভারতীয় সময়)
১০টা ৩৫
জি-২০ সামিটে যোগদান বাতিল করলেন ওলাঁ।
সাড়ে ১০টা
হত ৮ জঙ্গি। ৭ জন হত আত্মঘাতী বিস্ফোরণে।
১০টা ১৪
জঙ্গিদের পালাতে দেওয়া চলবে না। সরকারি নির্দেশে রুদ্ধ ফ্রান্সের সীমান্ত।
১০টা ১৩
প্যারিসে কারফিউ জারি।
৯টা ২৪
প্যারিস হামলার পর নিউ ইয়র্ক সহ অনান্য মার্কিনি শহর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল।
৮টা ২৯
ফেসবুকে প্যারিসের জন্য সেফটি চেক চালু
৮টা ২৭
প্যারিস পুলিশ কর্তারা জানালেন হামলাকারীরা সম্ভবত মৃত।
দেখুন গ্যালারি: ক্যামেরাবন্দি আতঙ্কের প্রহর
৮টা ২৬
ফ্রান্স হামলার তীব্র নিন্দা করলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
৮টা ২৫
হামলাকারীদের সঙ্গীরা এখনও ফ্রান্সেই আছে, আশঙ্কা ফরাসি সরকারের।
৮টা ২৪
জরুরি অবস্থা জারি করলেন ওলাঁ।
৮টা ২৩
গোটা শহরে ১৫০০ সেনা মোতায়েন করা হল। ফরাসি সরকার জরুরি অবস্থা জারি করল।
৭টা ৩৯
ফ্রান্সের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০১৪০৫০৭০৭০ চালু করল ভারতীয় দূতাবাস।
৫টা ৫৯
পুলিস সূত্রে খবর, গুলির লড়াইয়ে কনসার্ট হলে মৃত ১০০।
৫টা ৩০
বাটাক্লাঁ ছাড়াও প্যারিসের আরও পাঁচটি এলাকা থেকে বিস্ফোরণ ও জঙ্গিহানার খবর।
ভোর ৫টা ১৫
প্যারিসের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের কাছে প্রবল বিস্ফোরণ। তীব্র আওয়াজে বন্ধ করে দেওয়া হল ফ্রান্স-জার্মানি প্রীতি ম্যাচ।
ভোর ৫টা ১৪
প্যারিসের বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে ঢুকে পড়ল সশস্ত্র জঙ্গিরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে কনসার্ট হলের দখল নিল জঙ্গিরা। পনবন্দি করা হল প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত দর্শকদের। কনসার্ট হলের বাইরে তীব্র গুলির শব্ধ।
ভোর ৪টে ৪৭ (ভারতীয় সময়)
প্যারিসে ৭টি জায়গায় পরপর বিস্ফোরণের খবর।