ইমরান খান। রয়টার্স
আগামী ১০০ বছর ভারতের সঙ্গে অশান্তির পথে হাঁটতে চায় না পাকিস্তান। আগামী শুক্রবার প্রকাশিত হবে পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা নীতি-নথি। ১০০ পৃষ্ঠার সেই নথিতে এই ধরনের বেশ কিছু ‘নীতি’ থাকবে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
আজ ইসলামাবাদে ইমরান খান প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে একশো পাতার এই নথি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ পৃষ্ঠার একটি অংশ আগামী শুক্রবার সরকারি মহলে প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পুরো নথিটি নয়, সর্বসাধারণের জন্য কিছু নির্বাচিত অংশ প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এই আধিকারিক। তিনি আরও জানান, আগামী পাঁচ বছর, অর্থাৎ ২০২২ থেকে ২০২৬ পর্যন্ত দেশ কোন পথে চলবে, কেমনই বা হবে ইসলামাবাদের বিদেশনীতি, তার দিশা দেখানো থাকবে এই নীতি-নথিতে।
এই সাংবাদিক বৈঠকেই পাক কর্তা বলেন, ‘‘আগামী একশো বছর ভারতের সঙ্গে কোনও সংঘাতমূলক সম্পর্কে যেতে চাই না আমরা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের পড়শি দেশগুলির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের লক্ষ্যে এই নতুন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে অতীতে দু’দেশের মধ্যে যেমন বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল, সেই সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানি কর্তা। তবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বৈরথের প্রধান ় যে ইস্যু— সেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে নতুন নথিতে কিছু বলা হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিক প্রকাশের আগে আজ, বুধবারই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদপত্রে ওই নীতি-নথির কিছু অংশ প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, ভারত ছাড়াও বাকি প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে এলাকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক মসৃণ করার দিকেও।