—ফাইল চিত্র।
একের পর একি বিতর্ক এবং ব্যর্থতার অভিযোগে এককাট্টা বিরোধীরা। সময়ের আগেই দেশে সাধারণ নির্বাচন চেয়ে চলতি মাসের শেষে আইনসভা থেকে একযোগে পদত্যাগের হুমকিও দিয়েছে বিরোধী জোট। এই অবস্থায় বিরোধী শিবিরকে পাল্টা চাপে ফেলতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-এর চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে গদি থেকে সরাক বিরোধীরা। দেশকে একাধিক সঙ্কট থেকে বের করতে তিনি চেষ্টার কসুর করবেন না এবং রাজনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে চান বলেই এ দিন ফের জানিয়েছেন ইমরান।
সেনা এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে ভোটে জিতে গদিতে বসলেও গত কয়েক মাসে ঘরে-বাইরে একাধিক চাপের মুখে এই মুহূর্তে রীতিমতো নড়বড়ে ইমরানের সরকার। ভারত-সহ একাধিক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব বাড়া, অর্থনীতির বেহাল দশার পাশাপাশি জঙ্গিদের সামলাতে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের চাপ এবং সেনা এবং গুপ্তচর বাহিনীকে সামলাতে না পারা নিয়ে তাঁকে বেশ কিছু দিন ধরেই বিঁধছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-সহ অন্য বিরোধীরা। গোড়ায় বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও গত কয়েক মাসে ক্রমশ দানা বেঁধেছে বিরোধী জোট। সেই সঙ্গে বেড়েছে বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি-সহ নানা প্রশ্নে আমজনতার ক্ষোভও। ইমরান সরকারের নাজেহাল দশাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত নির্বাচন চায় বিরোধীরা। ক’দিন আগেই ১১টি বিরোধী দলের জোটের পিএমএল (এন) নেত্রী তথা নওয়াজ-কন্যা মরিয়ম জানিয়েছেন, এ মাসের শেষে বিরোধী প্রতিনিধিরা আইনসভা থেকে একযোগে পদত্যাগ করবেন। সব মিলিয়ে চাপ বাড়ছে ইমরান খানের সরকারের উপরে। এই অবস্থায় বিরোধী শিবিরের উপর পাল্টা চাপ বাড়ানোর পথেই হাঁটলেন ইমরান। বিরোধীদের জোট বেঁধে পদত্যাগের হুমকি উড়িয়ে তাঁর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত কোমনও সরকারকে ফেলার সাংবিধানিক পথ হল, অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকারকে ফেলা। ক্ষমতা থাকলে বিরোধীরা তা করে দেখাক।
একই সঙ্গে অবশ্য আলোচনার দরজাও খুলে রেখেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিছুটা নরম সুরেই তাঁর বক্তব্য, তিনি সংসদে বিরোধীদের যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি এবং সাংবিধানিক পথে সংসদই যাবতীয় সমস্যায় পথ দেখাতে পারে। তাই যে কোনও রকম গণতান্ত্রিক পথে হাঁটাই মঙ্গল বলে মত তাঁর।
আরও পড়ুন: প্রত্যাহার নয় আইন, অনড় কেন্দ্র
আরও পড়ুন: পাল্টা প্রচারে নামছে সঙ্ঘের কিসান মোর্চাও