দুর্ঘটনায় আহত মালয়েশীয় রাষ্ট্রদূত সানি মুজতাবারের সঙ্গে হাসপাতালে সাক্ষাৎ পাক বায়ুসেনা প্রধান সোহেল আমানের। শুক্রবার গিলগিট-বালটিস্তানে। ছবি: এএফপি।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালটিস্তান এলাকায় হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে মারা গেলেন দুই রাষ্ট্রদূত-সহ ৬ জন। তালিবানের দাবি, তাদের হামলাতেই ভেঙে পড়েছে হেলিকপ্টারটি। তাদের লক্ষ্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। তাদের দাবি, এটি নিতান্তই দুর্ঘটনা।
আজ গিলগিট-বালটিস্তানে একটি স্কুলের উপরে ভেঙে পড়ে সেনা হেলিকপ্টারটি। ওই ঘটনায় মারা যান নরওয়ের রাষ্ট্রদূত লেফ এইচ লারসেন, ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রদূত ডোমিঙ্গো ডি লুসেনারিয়ো জুনিয়ার। মারা গিয়েছেন মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীরা। মারা গিয়েছেন হেলিকপ্টারের দুই পাইলট। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১১ জন বিদেশি এবং ৬ জন পাকিস্তানিকে নিয়ে এমআই-১৭ কপ্টারটি নালতারে পর্যটন দফতরের একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। বিদেশিদের মধ্যে ছিলেন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লেবানন, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতেরা। কয়েক জন রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীও ছিলেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বিমানে করে নালতারে যাচ্ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাঝ পথ থেকেই ইসলামাবাদ ফিরে আসেন তিনি।
কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফের দাবি, ‘‘যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করানোর প্রয়োজন হয়েছিল। তখনই প্রায় ২৫ ফুট উপর থেকে স্কুল চত্বরে আছড়ে পড়ে কপ্টারটি। আগুন ধরে যায় স্কুলবাড়িতে।’’ একই কথা বলেছেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল অসিম সালিম বাজওয়া।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুখপাত্র মহম্মদ খোরাসানি বলেন, ‘‘হেলিকপ্টারটিকে একটি বিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নামানো হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, হামলার লক্ষ্য ছিল নওয়াজ। তিনি অন্য উড়ানে থাকায় বেঁচে গিয়েছেন।
তবে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পাক সেনাবাহিনী। জেনারেল বাজওয়ার বক্তব্য, ‘‘গিলগিট-বালটিস্তান এলাকাটি মোটেই তালিবান অধ্যুষিত নয়। তাই এর পিছনে তালিবানের কোনও নাশকতার ছক থাকতে পারে না।’’