Sardar Ayaz Sadiq

বিশ্বাসভঙ্গের মামলা হবে পাক নেতার বিরুদ্ধে

এই মন্তব্যের জন্য ওই বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলে ইমরান সরকার। ক্ষোভ ছড়িয়েছিল নাগরিকদের একাংশেও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৫৩
Share:

সংগৃহীত চিত্র।

ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিরোধী দলনেতা সর্দার আয়াজ় সাদিকের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গের মামলা করতে চলেছে ইমরান খান সরকার। গত ২৯ অক্টোবর পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) নেতা সাদিক বলেছিলেন, সৌজন্য দেখাতে নয়, বরং ভারতের তরফে পাল্টা আক্রমণের ভয়েই অভিনন্দনকে মুক্তি দেয় পাক সরকার। তিনি আরও বলেন, অভিনন্দন ধরা পড়ার পরে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়া, বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি-সহ একাধিক রাজনীতিকদের নিয়ে যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল, সেখানে পা কাঁপছিল সকলের, কপালে জমেছিল বিন্দু-বিন্দু ঘাম! বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, অভিনন্দনকে না-ছাড়া হলে ভারত পাল্টা হামলা চালাবে। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখেই অভিনন্দনকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘আমি ওবামা, প্রেসিডেন্ট ছিলাম, মনে আছে তো?

এই মন্তব্য ঘিরে উত্তাল হয় পাক প্রশাসন। তাঁর এই মন্তব্যের জন্য ওই বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলে ইমরান সরকার। ক্ষোভ ছড়িয়েছিল নাগরিকদের একাংশেও। সাদিককে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে লাহৌরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারও পড়েছে। সেই ছবি উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের পর্দায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: কোভিড হয়েছিল উইলিয়ামেরও​

গত বুধবার অভিনন্দন সম্পর্কিত ওই মন্তব্য করতে গিয়ে সাদিক বলেন, ‘‘স্রেফ ভারতের সামনে হাঁটু মুড়তে চেয়েছিল। অভিনন্দনকে ফিরিয়ে দিতেই তৎপর ছিল সরকার।’’ এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে পাকিস্তানের অভ্যম্তরীণ মন্ত্রী এজাজ় শাহ জানান, সাদিকের এই মন্তব্যের জেরে পুলিশের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই সূত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসভঙ্গের’ মামলা রুজু করা হবে কি না, তা নিয়ে পর্যালোচনা চালাচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে মন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘‘যাঁরা ভারতকে সমর্থন করবেন ভাবছেন, তাঁদের অমৃতসরে ফিরে যাওয়াই ভাল।’’ ছেড়ে কথা বলেনি পিএমএল-এন-ও। সাদিকের বিরুদ্ধে পাক সরকারের কড়া পদক্ষেপের বিরোধিতা করে তারা বলেছে, বিরোধীদের সহজেই ‘বিশ্বাসঘাতকের সার্টিফিকেট’ দেওয়া ইমরান সরকারের পুরনো অভ্যেস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement