অবশেষে মিটল জল্পনা। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ‘ধূসর তালিকা’-য় তাদের নাম ঢুকছে বলে স্বীকার করল পাকিস্তান। বুধবার পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল জানান, জুন মাস থেকে পাকিস্তানকে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগেই প্যারিসের বৈঠকে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফএটিএফ। ভারতের দৌত্যের ফলে এ নিয়ে সক্রিয় হয় আমেরিকা। পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছিল ফ্রান্স ও ব্রিটেনও। গোড়ায় তবু এ নিয়ে একটা আপত্তি তোলার চেষ্টা করেছিল চিন, রাশিয়া, তুরস্ক এবং সৌদি আরব। শেষমেশ যা ধোপে টেকেনি।
ইসলামাবাদের দাবি, জুন মাসের মধ্যেই তারা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে। এর আগেও ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এফটিএফের ওই তালিকায় নাম ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু এ বার ভোটের বছর বলেই সিঁটিয়ে পাক সরকার।
এ দিকে আজ আবার পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছে আমেরিকা। ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-দমন নীতি নিয়ে বারবার নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। যার জেরে সম্প্রতি নিরাপত্তা খাতে ২০০ কোটি ডলারের সাহায্য আটকেও দিয়েছে তারা। আজ মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের শীর্ষ কর্তা জেনারেল জোসেফ ভোটেল জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ এখনও যে হেতু সন্ত্রাস-দমনে সুনির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপ করেনি, তাই আপাতত আটকেই থাকবে আর্থিক সাহায্য।