ফাইল ছবি
তাদের বিরুদ্ধে বারবার সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, পড়শি দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সরাসরি ইন্ধন জোগায় তাদের দেশেরই গুপ্তচর সংস্থা। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির পিছনে অর্থ ঢালার অভিযোগে বছরের পর বছর ধরে ‘ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’-এর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনের ধূসর তালিকায় থাকে তারা। কিন্তু এ বার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কঠোর বার্তা দিল পাকিস্তান।
ক্ষমতায় আসার পর পরই পড়শি দেশগুলি বিশেষত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর বার্তা দিয়েছিলেন নয়া পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। কঠোর হাতে সন্ত্রাসবাদ দমনের কথাও বলেছিলেন তিনি। এ বার পাক সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের দফতরের তরফেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আসিফ ইফতিকার এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাঁদের সরকারের লড়াই অটুট রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে সব ধরনের রাস্তা অবলম্বন করব আমরা। আমাদের দেশ তথা গোটা এলাকায় যাতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে, সে চেষ্টাও করছে এই সরকার।’’
আসিফ জানিয়েছেন, বিশ্বের সব ক’টি শক্তিশালী দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চান তাঁরা। তাঁর বক্তব্য, চিন, রাশিয়া, আমেরিকা-সহ সব ক’টি শক্তিধর দেশের সঙ্গেই ভারসাম্যের নীতি বজায় রাখতে চায় বর্তমান সরকার। চিন ও রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বরাবরই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁকে সরানোর পিছনে দেশের বিরোধীদের সঙ্গে আমেরিকান প্রশাসনের ষড়যন্ত্র করেছিল বলে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছেন ইমরান। ইমরানের তোলা সেই অভিযোগ আমেরিকা ও তৎকালীন পাক বিরোধী দলগুলি অস্বীকার করেছিল। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক শোধরানোর জন্যই এখন ভারসাম্যের নীতি নিতে চায় পাক সরকার। একই উদ্দেশ্যে সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জ়ারদারি। আসিফ জানিয়েছেন, সম্পর্ক শোধরাতে আগ্রহী দুই দেশই।