ইমরান খান।—ফাইল চিত্র।
প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জের মুখে ‘কাপ্তান’।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথ আটকাতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই)-কে সংখ্যালঘু প্রমাণ করার জন্য জোট বাঁধার পরিকল্পনা করছে অপর দুই প্রধান বিরোধী দল। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার এক দফা আলোচনাও সেরে ফেলেছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) এবং বিলাবল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। পাশাপাশি, অন্য ছোট দলগুলির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বারের সাধারণ নির্বাচনে ২৭২টি আসনের মধ্যে ১১৬টি পেয়েছে ইমরানের দল। অন্য দিকে, পিপিপি ৪৩ এবং পিএমএল ৬৪টি আসন পেয়েছে। বাকি আসন গিয়েছে অন্যান্যদের দখলে। ৩৪২ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সরাসরি ভোট হয় ২৭২টি আসনে। ৭০টি আসন সংরক্ষিত মহিলা ও সংখ্যালঘুদের জন্য, যেগুলি ভোটে জেতা আসনের আনুপাতিক হারে বণ্টিত হয় দলগুলির মধ্যে। মোট আসনের নিরিখে সরকার গড়তে ১৭২টি আসন দরকার। যার অর্থ, ভোট-হওয়া ২৭২টি আসনের মধ্যে ১৩৭টি জিতলেই সরকার গড়া সম্ভব। যদিও সেই ম্যাজিক ফিগার থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়েই থেমে থাকতে হয়েছে ইমরানকে। তা সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই তিনি ঘোষণা করেছেন, আগামী ১১ অগস্ট শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হবে।
আরও পড়ুন: ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমির নেই, কপিল-সানির যাওয়া নিয়েও ধন্দ
আরও পড়ুন: ফল ঘোষণা স্থগিত, কারচুপির নালিশ
যদিও, পিএমএল-এন এবং পিপিপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, ইমরানকে ক্ষমতায় বসাতে রীতিমতো ছক করে কারচুপি করা হয়েছে। পুরো কাজটাই করা হয়েছে দেশের সেনাবাহিনীর নির্দেশ মতো। পাক সংবাদ মাধ্যম ডন সূত্রে খবর, ইমরানের শপথ আটকাতে বেশ কয়েক দফার আলোচনা করা করেছেন পিপিপি এবং পিএমএল নেতারা।