ফাইল ছবি।
পাক অ্যাসেম্বলিতে যবনিকা পতন হল মধ্যরাতের নাটকের। অনাস্থা ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে পড়ল ১৭৪টি ভোট। পতন হল ইমরান সরকারের। অ্যাসেম্বলিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ বিরোধীদের। তবে ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টার করে ইসলামাবাদ ছেড়েছেন ইমরান।
চার মিনিটের জন্য অধিবেশন স্থগিত থাকার পর আবার শুরু হল অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া।
ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোট শুরু হল পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে ১২টার আগেই শুরু হচ্ছে ভোটাভুটি। তবে শুরু হয়েই চার মিনিটের জন্য স্থগিত করা হল অধিবেশনের অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ক্ষমতাসীন তেহরিক-এ-ইনসাফ দলের সাংসদরা। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে ভোটাভুটি।
পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নতুন স্পিকারের পদে বসলেন সরদার আয়াজ সাদিক। শুরু হতে চলেছে অনাস্থা ভোট। পাঁচ মিনিট পরে শুরু হবে ভোট প্রক্রিয়া।
অনাস্থা ভোট শুরু হওয়ার আগেই ইস্তফা দিলেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার। ইমরানের বাসভবনে গিয়ে দেখা করার পর অ্যাসেম্বলিতে প্রবেশ করেন স্পিকার। সেখানেই ইস্তফা দেন স্পিকার। প্রশ্ন উঠছে স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে কে অনাস্থা ভোট পরিচালনা করবেন।
ইসলামাবাদের সমস্ত হাসপাতালকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে মনে করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখনও অবধি শুরু হয়নি অনাস্থা ভোটাভুটি। তাই স্পিকারের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দায়ের করল সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাশোসিয়েশন। তবে এখনও পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি পৌঁছাননি ইমরান। সাত জন বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হল। ইমরান সরলে তাঁর সমর্থকেরা রাস্তায় নামতে পারে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই বাড়তি নিরাপত্তা।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছলেন প্রধান বিচারপতি। রাত সাড়ে ১২টায় সুপ্রিম কোর্ট খোলা হবে। অনাস্থা ভোট না হলে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে। এমনকি গ্রেফতারও হতে পারেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার।
সূত্রের খবর, ইমরানের বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাঁকে ইস্তফা দিতে বারণ করেন সদস্যরা। তাঁকে অনাস্থাভোটের মুখোমুখি হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রীরা।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রে’র চিঠি দেখাতে পারেন ইমরান খান। ভোটাভুটির আগেই সেই চিঠি প্রধান বিচারপতিকে দেখাতে চান ইমরান।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোটাভুটি না হলে গ্রেফতার হতে পারেন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার।
ইসলামাবাদের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর খোলা হল। শোনা যাচ্ছে, বাসভবন থেকে বেরিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির দিকে রওনা দিয়েছে ইমরানের কনভয়।
অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যেই ইমরানের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের সেনা প্রধান।
দেশকে বাঁচাতে চাইলে এখনই ইমরান খান ও ডেপুটি স্পিকারকে গ্রেফতার করা হোক। দাবি তুললেন বিরোধী নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ।
বিরোধীদের প্রবল হই হট্টগোলের মধ্যেই পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ন’টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হল। অর্থাৎ ভারতীয় সময় রাত দশটায় ফের বসবে অধিবেশন। তখন হবে কি অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি? এখনও তা স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের সংবাদ সম্প্রচার চ্যানেল ‘জিও নিউজ’-এর দাবি, শনিবার অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হচ্ছে না।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একটি অংশের দাবি, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হতে পারে। কিন্তু রাত ন’টায় ইমরান নিজের বাড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। ফলে জল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন না পাক সাংবাদিকরা। কারণ, অনাস্থাভোটে ইমরানের হার কার্যত নিশ্চিত।