পাক সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টিটিপির বহু অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করল পাক সেনা এবং ‘কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট’ (সিটিডি)-এর যৌথ বাহিনী। পাক সেনা জানিয়েছে বুধবার উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার দত্তা খেল এলাকায় দু’তরফের লড়াইয়ের পর ৬ জন টিটিপি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন।
পাক সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে টিটিপির বহু অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের মির আলি এলাকাতেও একই কায়দায় অভিযান চালানো হয়েছিল।প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, পাক সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে নভেম্বরে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল টিটিপি। বিদ্রোহী ওই পাশতুন গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে পাক সেনা গোপন অভিযান শুরু করার ফলেই অশান্তি ছড়িয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। ডিসেম্বরে অভিযান চালিয়ে টিটিপির মূল ঘাঁটি বান্নু জেলা দখল করে পাক সেনা। তার পর থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু’তরফের লড়াই চলছে। এমনকি, আফগানিস্তানের তালিবান বাহিনীর সঙ্গেও সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে পাক সেনা।
দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল টিটিপি-র। বালুচিস্তান প্রদেশের উত্তরাংশেও তাদের প্রভাব রয়েছে। আমেরিকায় ড্রোন হামলায় নিহত জঙ্গিনেতা বায়তুল্লা মেহসুদ প্রতিষ্ঠিত টিটিপি গোষ্ঠী বরাবরই পাক সরকারের বিরোধী। ২০১৪ সালে পেশোয়ারের একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে শতাধিক পড়ুয়াকে খুন করেছিল টিটিপি জঙ্গিরা। একাধিক অভিযান চালিয়েও তাদের বাগে আনতে পারেনি পাক সেনা। ২০০৯ সালে টিটিপি-র বিরুদ্ধে ‘অপারেশন রাহ-ই-নিজত’ করেছিল পাক সেনা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সেটিই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান।