ভারতীয় বংশোদ্ভূত এআই গবেষক সুচির বালাজি। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এআই বিশেষজ্ঞ সুচির বালাজির রহস্যমৃত্যু ক্যালিফর্নিয়ায়। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করতেন তিনি। ওপেনএআই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘ চার বছর। সম্প্রতি সংস্থার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন সুচির। তার পরেই ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে একে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ।
২৬ বছর বয়সি সুচির ওপেনএআই সংস্থায় যোগ দেন ২০২০ সালের নভেম্বরে। ২০২৪ সালের অগস্ট পর্যন্ত সেখানে গবেষক হিসাবে কাজ করেন তিনি। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন চ্যাটজিপিটি। এই চ্যাটজিপিটির স্রষ্টা ওপেনএআই। ২০১৫ সালে ইলন মাস্ক এবং স্যাম অল্টম্যান একসঙ্গে এই সংস্থাটির সূচনা করেছিলেন। পরে ২০১৮ সালে মাস্ক ওই সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসেন।
ওপেনএআইয়ের মালিক অল্টম্যানের সঙ্গে মাস্কের বিরোধ অনেকেরই জানা। সুচিরের মৃত্যুর পর তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেছেন মাস্ক। মৃত্যুর খবরটি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন কেবল একটি শব্দ— ‘হুমম’।
স্যান ফ্রান্সিস্কোর বুচানন স্ট্রিটের অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন সুচির। গত ২৬ নভেম্বর সেখান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার।স্যান ফ্রান্সিস্কো মুখপাত্র রবার্ট রুয়েকা জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে সুচিরের মৃত্যুকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, প্রাথমিক তদন্তে কোনও ষড়যন্ত্রের প্রমাণ মেলেনি।
ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন সুচির। তিনি প্রকাশ্যেই দাবি করেছিলেন, তাঁর সংস্থা কপিরাইট আইন ভঙ্গ করছে। চ্যাটজিপিটির মতো প্রযুক্তি ইন্টারনেটের ক্ষতি করছে বলেও দাবি করেছিলেন সুচির। নিউ ইয়র্ক টাইম্সে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে সংস্থা ছেড়ে দিতে হবে।
চ্যাটজিপিটি নিয়ে দেড় বছরের বেশি সময় কাজ করেছিলেন সুচির। সংস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরেই তাঁর রহস্যমৃত্যু নতুন জল্পনা তৈরি করেছে। বিতর্কে ঘি ঢেলেছে মাস্কের পোস্ট।