—ফাইল চিত্র।
ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলার সব পথ খুলে দেওয়া হোক। সন্ত্রাসের পথেই কাশ্মীরের দখল নেওয়া হোক। পাকিস্তানের সরকারকে এমনই পরামর্শ দিলেন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার। জইশের মুখপত্র আল-কালামের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে মাসুদ পাক সরকারের কাছে খোলাখুলি এই আবেদন রেখেছেন। কাশ্মীরে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হানা ভারতকে দুর্বল করে দিয়েছে বলেও মাসুদ আজহারের দাবি।
পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার মূল চক্রী মাসুদ আজহার এখন পাক সেনা তথা আইএসআই-এর চোখের মণি। উরিতে জঙ্গি হামলাও তাঁর সংগঠন জইশের কাজ, জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। আসলে কাশ্মীর-সহ ভারতের অন্যান্য অংশে নাশকতা চালানোর জন্য জইশ-ই-মহম্মদই এখন পাক সেনার সবচেয়ে বড় ভরসা। ভারতকে রক্তাক্ত করার জন্য জইশের প্রস্তুতি পাকিস্তানের মাটিতে খোলাখুলি চললেও, আন্তর্জাতিক চাপ এড়াতে পাক সরকার জইশ-সহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের উপস্থিতি বার বার অস্বীকার করে। মাসুদ আজহার এখন বলছেন, সেটুকু রাখঢাকেরও প্রয়োজন নেই। ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর সমস্ত রাস্তা খুলে দিক পাকিস্তানের সরকার। তা হলেই ভারতের হাত থেকে কাশ্মীর ছিনিয়ে নেবেন তিনি।
মাসুদ আজহার আল-কালামের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘কাশ্মীরে সন্ত্রাস ভারতকে অনেকটা দুর্বল করে দিয়েছে।’ তাঁর ভাষায়, ‘‘কাশ্মীরে জিহাদের আগে ভারত কেমন ছিল আর জিহাদের পরে ভারতের অবস্থা কী হয়েছে, সেটা বিচার করে দেখুন। ভারত সাপ থেকে কেঁচোয় পরিণত হয়েছে।’’ এই মুহূর্তে পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসের সব পথ খুলে দেয়, তা হলে শীঘ্রই কাশ্মীরের দখল নেওয়া সম্ভব বলে মাসুদ আজহারের দাবি। পাকিস্তানের সরকার যদি তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করে, তা হলে ১৯৭১-এর তিক্ত স্মৃতি মুছে যাবে এবং ২০১৬ সালেই এক বিজয় ইতিহাস তৈরি হবে বলেও মনে করছেন জইশ প্রধান।
আরও পড়ুন: আবার সংসদে হানার ছক জইশের
মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারির করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হয়েছে ভারত। নিরাপত্তা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য ভারতের দাবিকে সমর্থন করছে। কিন্তু চিন বার বার ভেটো প্রয়োগ করে মাসুদ আজহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া আটকে দিচ্ছে।