Sri Lanka

ধার করেই চলতে হবে! সঙ্কটে থাকা শ্রীলঙ্কাকে বাঁচাতে শেষ বিকল্পের কথা বললেন বিক্রমসিঙ্ঘে

অর্থভান্ডার ছাড়াও বিক্রমসিঙ্ঘে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন জাপান, ভারত এবং চিনের কথা। তিনি জানিয়েছেন সঙ্কটে এই দেশগুলি নানা ভাবে সহযোগিতা জুগিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কলম্বো শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:১৯
Share:

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। ফাইল চিত্র।

অর্থনৈতিক ডামাডোল রাজনৈতিক ডামাডোল তৈরি করেছিল শ্রীলঙ্কায়। জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল সে দেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে। সে দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য উদ্ধার করতে তার উপরেই ভরসা রেখেছিল দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ। সেই বিক্রমসিঙ্ঘে সম্প্রতি জানিয়েছেন, চলতি অচলাবস্থা থেকে শ্রীলঙ্কাকে বার করে আনতে হলে অন্যান্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক নানা সংস্থা থেকে ঋণ নিতেই হবে।

Advertisement

শুক্রবার দেশের সমস্ত কর্মচারী সংগঠন এবং শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। সেই বৈঠকে তিনি জানান, দেশ বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি-সহ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের দৈনন্দিন খরচ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের তরফে পাওয়া ঋণ নিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

অর্থভান্ডার ছাড়াও বিক্রমসিঙ্ঘে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন জাপান, ভারত এবং চিনের কথা। তিনি জানিয়েছেন সঙ্কটে এই দেশগুলি নানা ভাবে সহযোগিতা জুগিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। এই দেশগুলি থেকে পাওয়া ঋণ নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে তিনি দ্রুত আগের মতো স্বনির্ভর করতে চাইছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

একই সঙ্গে তিনি খানিক সতর্কতার সুরে বলেছেন, ইউরোপ এবং আমেরিকার অর্থনীতিতে সাময়িক মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। এই কারণে দেশের রফতানি বাণিজ্য খানিক মার খেতে পারে আশঙ্কা তার। তবে পর্যটনে আবার লক্ষ্মীলাভ হতে পারে, আশা তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement