পুজোর আয়োজন সম্পূর্ণ।
পুজো হবে। পুরোহিত মশাই আসবেন। হাতেখড়ি হবে। হবে অঞ্জলিও। কিন্তু ‘ভগবতী ভারতী দেবী নমস্তুতে’ বলার পর এ বার আর হাতের মুঠোর ফুলটা দেবীর পায়ে অর্পন করা যাবে না। বরং হাতের ফুলটা নামিয়ে দিতে হবে ডিজিটাল পর্দার তলায়। কারণ এ বছর পুজো অনলাইনে। দক্ষিণ লন্ডনের কেন্ট এলাকার বাঙালিরা এ বছর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
করোনার কারণে ইংল্যান্ডে এখনও কড়া লকডাউন। সংক্রমণ এখনও বাড়ছে। তাই স্বাভাবিক জীবন ফিরতে ঢের দেরি। এরকম পরিস্থিতিতে সরস্বতী পুজো কি বন্ধ হয়ে যাবে? আশঙ্কা ছিল তেমনই। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস হলে, অনলাইনে পুজো হবে না কেন? সেই কারণেই এলাকার বাঙালিদের তরফে এমনই উদ্যোগ। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে পুজো। প্রতি বছরের মতোই পুজোর সব আচার বিচার মানা হবে। পৌরহিত্য করবেন হীরক হালদার। নেটমাধ্যমে ‘ইউনাইটেড কিংডম হিন্দু কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’ বা ইউকেএইচসিএ-এর পাতা থেকে সরাসরি দেখা যাবে এই পুজো।
তবে পুজো তো শুধু মন্ত্র আর আচারবিচার নয়, প্রতি বছর কেন্টের এই পুজো হয়ে ওঠে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে কচিকাঁচাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমও। এ বছর মার যাবে না সে়টাও। অনলাইনেই কেন্টের বাঙালি সম্প্রদায়ের তরফে আয়োজন করা হয়েছে নেতাজিকে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের। ছোটদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে বাঙালির এই নায়কের। প্রতি বছরের মতোই থাকবে গানবাজনা। সেটাও নিজের নিজের বাড়ি থেকে।
করোনার কারণে বাতিল হয়েছে পরীক্ষা। বেনিয়মে চলছে ক্লাস। তার মধ্যেই টিকা আশা দেখাচ্ছে, করোনার দিনগুলো শেষ হওয়ার। তবু এই অনিশ্চিয়তার মধ্যেও পরের প্রজন্ম যাতে নিজেদের সংস্কৃতিকে চিনতে পারে, জানতে পারে নিজেদের ইতিহাস— তারই উদ্যোগ ইংল্যান্ডের এই বাঙালিদের।