জগিং করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো হয়েছে। হ্যাঁ! ঠিকই শুনেছেন। জগিং করা এ দেশে এখনও নিষিদ্ধ না হলেও বিশ্বের একটি দেশে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। এমন অদ্ভুত সব নিষেধাজ্ঞার গল্প আরও আছে। কী কী, তা জেনে নিন।
ফুরসত পেলেই ভিডিয়ো গেম খেলতে শুরু করে দেন? তবে গ্রিসে বেড়াতে গেলে মুশকিলে পড়বেন। কারণ, সে দেশে ভিডিয়ো গেম খেলা একেবারেই নিষিদ্ধ। এমনকি, বাড়ির কম্পিউটারেও তা খেলা যাবে না। বেআইনি জুয়া খেলা রুখতে ২০০২ সালেএমন আইন করে গ্রিস সরকার।
মালয়েশিয়ায় হলুদ রঙের কোনও পোশাক পরা একেবারেই বারণ। জুতো-জামা, টুপি তো বটেই, এমনকি হলুদ রঙের অন্তর্বাস পরাও নিষেধ। সে দেশে হলুদ রঙকে প্রতিবাদের প্রতীক মনে করা হয়। একটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদীদের পরনে প্রায়শই দেখা যায় হলুদ রঙের পোশাক। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসাবেও এই আইন করে মালয়েশিয়া।
নিজের সন্তানের জন্য পছন্দ মতো নাম বাছতে পারেন না ডেনমার্কবাসীরা। তার জন্য বিস্তর হ্যাপা সামলাতে হয় তাঁদের। বরং সে দেশের সরকারের তৈরি ২৪ হাজার নামের একটি তালিকা থেকেই বেছে নিতে হয় সন্তানের নাম। সরকারের কাছে এ নিয়ে বিশেষ ভাবে আবেদন করতে পারেন। তাতে সায় মিললে তবেই নিজের পছন্দের নামে সন্তানকে ডাকতে পারবেন!
র্যা প মিউজিক, পোষ্য হিসাবে কুকুর-বেড়াল, স্কিনটাইট জিন্স, ট্যাটু, সবেতেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইরানে। এমনকি, প্রিয় হলিউড স্টারের মতো হেয়ারকাটও দিতে পারবেন না। পুরুষদের স্পাইক, পনিটেলের মতো ওয়েস্টার্ন হেয়ারকাট দিয়ে স্টাইল করাও একেবারে মানা। ইরানের হেয়ারকাটারদের ইউনিয়নের মতে, এগুলো নাকি শয়তানকে পুজো করার লক্ষণ।
সাতসকালে উঠেই জগিং করা উচিত। এই পরামর্শ অনেকেই দেন। তবে বুরুন্ডিতে গিয়ে এমনটা করলে আপনাকে সারা জীবন জেলে কাটাতে হতে পারে। দেশের উপজাতিদের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট পিয়ের এনকুরুনজিজা জগিং নিষিদ্ধ করেন। কারণ, সেখানে জগিং করাকে যুদ্ধের সমতুল্য বলে মনে করা হয়।
কেচাপে মাখামাখি না হলে স্ন্যাক্স মুখেই রোচে না অনেকের। তবে ফ্রান্সের স্কুলের ক্যাফেটেরিয়ায় এমনটা করা একেবারেই বেআইনি। ফরাসি সরকারের মতে, কেচাপ খেতে খেতে দেশের চিরাচরিত খাবারের আসল স্বাদ ভুলতে বসেছে পড়ুয়ারা। তবে আইনের ফাঁক গলে বেরোনোরও উপায় আছে। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের অর্ডারের সঙ্গে কেচাপ এখনও বেআইনি নয়।
সৌদি আরব বা ইন্দোনেশিয়ায় হস্তুমৈথুন করা আইনত অপরাধ। ইন্দোনেশিয়ায় এই অপরাধের শাস্তি ৩২ মাসের জেল। আর হস্তুমৈথুন করা অধর্ম নয়, প্রকাশ্যে এমন কথা বলায় সৌদি আরবের এক শিক্ষকের তিন বছরের সাজা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ৩০০ বেতের ঘা পড়েছিল তাঁর পিঠে।
উত্তর কোরিয়ায় নীল রঙের জিন্স পরা একেবারেই বারণ। তবে কালো রঙের জিন্স হলে তাতে আপত্তি নেই সরকারের। নীল রঙে কেন আপত্তি? আমেরিকার পতাকায় রয়েছে নীল রঙের ছোঁয়া। আর ‘চিরশত্রু’র কোনও রং নিয়ে এত মাতামাতি করাটা বেশি পছন্দ নয় সরকারের।