নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং জাস্টিন ট্রুডো। —ফাইল চিত্র।
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হঠাৎই তলানিতে ঠেকার পর সম্প্রতি সুর নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই সুর নরমের আবহকে ধরে রেখেই এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে ভারতের সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত কূটনীতি’ চালানোর কথা বললেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত কূটনীতির কথা বলে প্রকৃত পক্ষে ভারতের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় বসে সমস্যা মেটাতে চাইছে কানাডা।
কানাডার বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা ব্যক্তিগত স্তরে ভারতের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাব। কারণ আমরা মনে করি কূটনৈতিক আলোচনা ব্যক্তিগত স্তরে হলে সেটা সবচেয়ে ফলপ্রসূ হয়।” সম্প্রতি ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কানাডাকে অনুরোধ করেছে নয়াদিল্লি। কানাডায় বর্তমানে ২০ জন ভারতীয় কূটনীতিক রয়েছেন। ‘কূটনৈতিক ভারসাম্য’ রক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ— নয়াদিল্লির তরফে এই বার্তা দেওয়া হলেও নেপথ্য-বার্তাটিও পড়তে পারছেন অনেকেই। এই আবহেই কানাডার মন্ত্রীর ওই মন্তব্য একদা ‘রণং দেহী’ কানাডার রণে ভঙ্গ দেওয়ার ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনের জন্য কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে নিশানা করেছিলেন ট্রুডো। কিন্তু দু’সপ্তাহের মাথাতেই সুর নরম করে ট্রুডো জানান বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে হাঁটতে চান না তিনি। ভারত-কানাডা সম্পর্ক নিবিড় করার বার্তা দিয়ে মঙ্গলবার কানাডার রাজধানী অটোয়ায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আর আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই না।’’
ট্রুডো মঙ্গলবার নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্কের পক্ষেও সওয়াল করেন। প্রসঙ্গত, খলিস্তান-বিতর্কে ভারতের সঙ্গে বিবাদ মেটানোর বিষয়ে গত শুক্রবারই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে ভারত আত্মপ্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত এখন উদীয়মান শক্তি। কানাডা চায় তাদের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে গত বছর আমাদের বৈঠকও হয়েছে।”