ড্রাগনের দেশে গোপনে দূত পাঠিয়েছিল দিল্লি। তাতে সাফল্যও মিলেছে বলে দাবি করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। কিন্তু পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ভারতের সদস্যপদের আশার সামনে থেকে চিনের প্রাচীর সরার লক্ষণ অন্তত দেখা যাচ্ছে না।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলে এ দিনই শুরু হয়েছে এনএসজি-র প্লেনারি বৈঠক। তার আগে ভারতের সদস্যপদ সমর্থন করেছে আমেরিকা, সুইৎজারল্যান্ড-সহ বেশ কিছু দেশ। গত কাল সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জানান, চিন ভারতের সদস্যপদের পথে বাধা হবে না বলেই মনে করেন তিনি। সম্প্রতি এক গোপন সফরে বেজিং গিয়ে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর চিনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন বলে জানান সুষমা। তাতে কিছুটা সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এ দিন উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছে বেজিং। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইংয়ের দাবি, এই বিষয়টি বৈঠকের কর্মসূচিতেই নেই। হুয়ার কথায়, ‘‘যে সব দেশ পরমাণু অস্ত্রপ্রসার রোধ চুক্তি (এনপিটি)-তে স্বাক্ষরকারী নয়, তাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এনএসজি-তে ঐকমত্য হয়নি। তাই বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা মনে করি না।’’ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মতে, এনপিটি-তে স্বাক্ষরকারী নয় এমন দেশগুলি এনএসজি-র সদস্য হতে পারে কিনা তা নিয়ে আগে অন্য পর্যায়ে যথাযথ আলোচনা প্রয়োজন। ঐকমত্য হলে তবেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। ভারতীয় কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন, ২৩-২৪ জুন এনএসজি-র প্লেনারির চূড়ান্ত পর্বে ভারতের সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নাও হতে পারে। কিন্তু ভারতের প্রতি তাদের সমর্থনের কথা জানাতে পারে আমেরিকা-সহ কয়েকটি দেশ। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্লেনারির কর্মসূচিতে বিষয়টি না থাকা নিয়ে বেজিংয়ের কথা সত্যি হতে পারে। কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হয়। তাই এখনই এ নিয়ে জল্পনা না করা উচিত।’’ সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, ২৪ জুন বিদেশসচিবকে সোল পাঠানো যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সোল বৈঠকের কর্মসূচিতে রয়েছে বলে দিল্লিকে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। তবে এ নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কোনও মন্তব্য করেনি তারা।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপও বলছেন, ‘‘যে বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা এখনও হয়নি। সেখানে কী ঘটে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’