ছবি পিটিআই।
অবস্থানের সময়ে সরাসরি ভিডিয়ো কলে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছেন চাকরি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া প্রতিবাদী আইএএস অফিসার কন্নন গোপীনাথন। অডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছেন দলিত সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ। শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারির দিকে তাকিয়ে উত্তেজনায় ফুটছেন ইউরোপে কর্মরত বা পাঠরত ভারতীয়দের একাংশ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সামনে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত জমায়েত হবে প্রবাসী ভারতীয়দের। ফেসবুকে বা হোয়াটসঅ্যাপে সমমনস্ক ভারতীয়দের গ্রুপে খবরটা ছড়িয়েছে। প্রতিবাদীদের অন্যতম, কোলনে কর্মরত উত্তরবঙ্গের এক তরুণী বললেন, ‘‘জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ করতে হলে মাসখানেক আগে অনুমতি নিতে হয়। আমরা চাইছিলাম ২৬ জানুয়ারি প্রতিবাদে শামিল হতে। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষে আবেদন করেও সেই সুযোগ পেলাম না। তার বদলে ১ ফেব্রুয়ারি অনুমতি পেয়েছি।’’
ডিসেম্বরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে পুলিশি হানার পরেই বিক্ষিপ্ত ভাবে জেগে উঠতে শুরু করেন ইউরোপের প্রতিবাদী ভারতীয়েরা। বার্লিনে ২১ ডিসেম্বরের প্রতিবাদে ২৫০ মানুষকে জড়ো হতে দেখে তাঁরা নিজেরাই অবাক। তার পর থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ চলেছে। আমেরিকার বিভিন্ন শহরের মতো ইউরোপের ভারতীয়েরাও ২৬ জানুয়ারি পথে নেমেছিলেন। হেলসিঙ্কি, ট্যাম্পেরে, টুর্কু— ফিনল্যান্ডের তিনটি শহরে দারুণ সাড়া ফেলেছিল প্রতিবাদ। নয়ডা থেকে হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা করতে এসেছেন বিজ্ঞানের ছাত্রী সঙ্গীতা শেষাদ্রি। তামিলভাষী এই তরুণী বলেন, ‘‘আজাদির স্লোগান, কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে আবৃত্তি থেকে শুরু করে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত— সবই ছিল সভায়। তামিলে ‘সন্ডা সাইভম’ (আমরা লড়াই করব) স্লোগানও দিয়েছেন অনেকে।’’ বিমানে হেলসিঙ্কি থেকে জেনিভা যাচ্ছেন সঙ্গীতা। জেনিভায় গবেষণারত, প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী সুচরিতাও থাকছেন। প্রতিবাদীরা আসছেন পোলান্ডের ক্র্যাকাও, ইটালির টুরিন, ফ্রান্সের প্যারিস, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, সুইডেনের স্টকহলম বা জার্মানির বিভিন্ন শহর থেকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে ধর্মের নামে ভারতে ফাটল ধরানোর যে-চেষ্টা চলছে, তার কথা রাষ্ট্রপুঞ্জে পৌঁছে দিতে চান তাঁরা।