NRI Contributions

ছাড়পত্রই নেই, ফেরত যাচ্ছে প্রবাসীর সাহায্য

মিলিদেবী জানান, ত্রাণের জন্য ৩০ মে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ওঠে।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক প্রবাসী বা অনাবাসীই বাংলার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাহায্য করতে আগ্রহী। কিন্তু ‘ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট’ বা বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সেই সব অর্থ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় অনুমোদন রাজ্যের কাছে না-থাকায় তা নেওয়া যাচ্ছে না। যেমন ইংল্যান্ডের লিডস থেকে মিলি বসুরা ঘূর্ণিঝড় আমপানের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২ জুন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ত্রাণ তহবিলে অর্থ পাঠানো সত্ত্বেও অনুমোদনের অভাবে তা ফেরত চলে যায়।

Advertisement

মিলিদেবী জানান, ত্রাণের জন্য ৩০ মে একটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ওঠে। কিন্তু তা সরাসরি রাজ্যের ত্রাণ তহবিলে দেওযা যায়নি। শেষ পর্যন্ত লিডসে থাকা এক বন্ধুর মায়ের কলকাতার অ্যাকাউন্ট থেকে সেই অঙ্কের টাকা পাঠানো হয়েছে ত্রাণ তহবিলে। আর লিডসে বসে তোলা টাকা দেওয়া হয়েছে সেই বন্ধুর হাতে। অনেকটা হাওয়ালার কায়দাতেই।

রাজ্যের অর্থ দফতরের এক কর্তা জানান, আমপানের পরে সরকার ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদ’-এর নামে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইনে রেজিস্ট্রি করে একটি তহবিল তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই তহবিলের বিষয়ে বৈদেশিক অনুদানের ছাড়পত্র নেয়নি রাজ্য। কেন নেয়নি? রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, “বিদেশ থেকে আসা যে-কোনও টাকা নিয়েই হাজারো সমস্যা। কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে। কোথা থেকে, কাদের কাছ থেকে টাকা আসছে, তা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে পারে।” তবে কেউ নির্দিষ্ট ভাবে কোনও অনুরোধ করলে, তার ভিত্তিতে শুধু সেই তহবিলের জন্য কেন্দ্রের অনুমতি চাওয়া যেতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement