প্রতীকী চিত্র।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে এর আগেও জলঘোলা হয়েছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার এই আড়ি পাতার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করছে— বছর দুয়েক আগে এই অভিযোগ যেমন এ দেশে উঠেছে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে অন্য দেশের সরকারকেও। আর তার ফলে পেগাসাস নির্মাতাদের ব্যবসায়ে কার্যত ধস নেমেছে। এই স্পাইওয়্যারটি তৈরি করে ইজ়রায়েলের এনএসও নামে একটি সংস্থা, ২০১৯-এ যেটিকে কিনেছিল লন্ডনের লগ্নি সংস্থা নোভালপিনা ক্যাপিটাল। কিন্তু তার পরে এক দিকে ব্যবসায়ে ধস, পাশাপাশি অন্য পার্টনারদের সঙ্গে মতভেদের জেরে উঠে যেতে হয়েছে লন্ডনের লগ্নি সংস্থাটিকে। একই সঙ্গে এস্টোনিয়ার একটি ক্যাসিনো সংস্থা এবং ফরাসি একটি ওষুধের কোম্পানিতেও লগ্নি করেছিল নোভালপিনা। এনএসও-র লোকসান মোকাবিলায় বাকি দু’টি সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবছে এখন তারা। আগামী মাসে নোভালপিনা ক্যাপিটাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছে।
ব্রিটিশ লগ্নি সংস্থাটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পরে এনএসও-র মালিক এখন কে, সেটাই স্পষ্ট নয়। তার সঙ্গে এত বড় আন্তর্জাতিক কেলেঙ্কারি। ফলে নতুন করে লগ্নি পাওয়া যেমন সমস্যা হবে, ক্রেতা পেতেও ঘাম ছুটবে। সব মিলিয়ে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। নতুন করে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠার পরে বারে বারে তা অস্বীকার করে এসেছে এনএসও, যেমন অস্বীকার করছে মোদী সরকারও। কিন্তু চিঁড়ে ভিজছে না।
তবে অভিযোগ মোকাবিলায় এনএসও যে ভাবে গোড়া থেকে ইজ়রায়েল সরকারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, অনেকের ধারণা ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা এনএসও-কে ব্যবহার করছে। বস্তুত, মালিকানা নিয়ে গন্ডগোল রয়েছে, এমন সংস্থাকেই তারা ব্যবহার করে, যার ফলে দুষ্কর্মের দায় কারও ঘাড়েই পড়ে না। এ ক্ষেত্রেও এনএসও বরাবর বলে আসছে, ইজ়রায়েল সরকারের নির্দেশ ছাড়া তারা কাউকে স্পাইওয়্যার বিক্রি করেনি। আর সচরাচর অন্য দেশের সরকারি সংস্থাকেই তারা এটা বিক্রি করে।