গ্বাদর ভোগাবে মার্কিন মুলুককে!

চিনের সহায়তায় পাকিস্তান তার গ্বাদর বন্দরকে যে ভাবে গড়ে তুলছে, তার কৌশলগত প্রভাব শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে দাবি। আমেরিকায় পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানির বক্তব্য অন্তত এ রকমই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৭ ০৩:৩৮
Share:

চিনের সহায়তায় পাকিস্তান তার গ্বাদর বন্দরকে যে ভাবে গড়ে তুলছে, তার কৌশলগত প্রভাব শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না বলে দাবি। আমেরিকায় পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানির বক্তব্য অন্তত এ রকমই।

Advertisement

অতি স্পর্শকাতর ভূকৌশলগত অবস্থানে ৪৬০০ কোটি ডলার খরচ করে নির্মীয়মাণ গ্বাদর বন্দর পাকিস্তানে চিনের অর্থনৈতিক করিডরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বালুচিস্তান প্রদেশে আরব সাগরের বুকে এই গভীর সমুদ্র বন্দরটির কাজ প্রথম দফায় শেষ হয়েছে। গত বছর সেটি উদ্বোধনও করেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দ্বিতীয় দফার কাজ চলছে।

হাক্কানি বলেন, ‘‘গ্বাদরের দেখভাল যদি চিন করে, যদি সেখানে তাদের সামরিক এবং নৌবাহিনীর উপস্থিতি থাকে, তা হলে তার প্রভাব কোনও মতেই শুধু ভারতে আটকে থাকবে না। উপসাগরীয় দেশসমূহ, ইরান এবং আমেরিকাও প্রভাবিত হবে। আমেরিকার তেল এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রভাবিত হবে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার আবিষ্কর্তাকে ডুডলে স্মরণ গুগলের

চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর একাধারে সড়ক, রেলপথ এবং শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রের সমাহার। এতে দক্ষিণ পাকিস্তান এবং গ্বাদর বন্দরের সঙ্গে চিনের শিনজিয়াং-উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরাসরি যোগ স্থাপিত হবে। রুটটি যেহেতু পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, ফলে এতে ভারতের অস্বস্তির কারণ রয়েছে। ভারত তার আপত্তি জানিয়েও রেখেছে। হাক্কানিও স্বীকার করছেন, ‘‘বড় নৌঘাঁটি তৈরির ক্ষমতা এমনিতে পাকিস্তানের নেই। কিন্তু পাকিস্তানের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির সবটাই ভারতকে ঘিরে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement