পঞ্জশিরে টহল তালিবান বিরোধী বাহিনীর। ছবি: রয়টার্স।
শুধু পঞ্জশিরের জন্য নয়, তালিবানের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই গোটা আফগানিস্তান, আফগান মহিলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য। এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন আহমদ মাসুদ বাহিনীর মুখপাত্র ফাহিম দাশতি।
তালিবানের সঙ্গে আলোচনা চলছে মাসুদ বাহিনীর। সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে তালিবান। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে মাসুদ বাহিনীর অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এমনকি মাসুদও জানিয়েছেন, যদি সমঝোতা ফলপ্রসূ হয় তা হলে আফগানিস্তানের সরকারের অংশীদার হবেন তাঁরা।
ফাহিম জানিয়েছেন, কথা চলছে। তবে তালিবানের সঙ্গে কোনও চুক্তি হয়নি এখনও। তবে তালিব জমানায় আফগান মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফাহিম। তাঁর কথায়, “আফগান মহিলাদের সুরক্ষাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তবে তালিবান নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও আফগানবাসীদের অধিকার এবং সমানাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে তাদের।”
তালিবানের কাছে মাথা নত করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ফাহিম। তাই গোটা পঞ্জশির এক হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে। আফগানিস্তানের তিন দিক তালিবানের দখলে চলে গেলেও উত্তরের এই প্রান্ত এখনও বাগে আনতে পারেনি তালিব জঙ্গিরা। তাই আলোচনার পথ বেছে নিতে হয়ে তালিবানকে।
গোটা পঞ্জশিরকে ঘিরে রেখেছে ন্যাশনাল রেজিসট্যান্স ফ্রন্ট (এনআরএফ)-এর ন’হাজার সেনা। এনআরএফ-এর এক কমান্ডার আমির আকমল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁরা তালিবানের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। তিনি বলেন, “বাহিনীর বেশির ভাগই অল্পবয়সি। তাঁরা মাথা নোয়াতে রাজি নয়। পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি আমরা। তালিবান যদি যুদ্ধ চায় যুদ্ধ হবে, আর যদি শান্তি চায়, তাতেও প্রস্তুত আমরা।”