আবার শক্তিপ্রদর্শন উত্তর কোরিয়ার। ছবি: সংগৃহীত।
‘হায়েলি ১’-এর পর এ বার ‘হায়েলি ২’। আবার পরমাণু অস্ত্রবহনক্ষণ হামলাকারী ড্রোনের পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া। সমুদ্রের নীচ দিয়ে হামলা চালাতে পারবে এই ড্রোন। শনিবার এই ড্রোনের পরীক্ষা করে শক্তিপ্রদর্শনের চেষ্টা করলেন প্রশাসক কিম জং উন।
আগেই ‘হায়েলি ১’ ড্রোনের সফল পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। তার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘হায়েলি ২’ ড্রোনের পরীক্ষা চালাল তারা। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্র কেসিএনএ-তে দাবি করা হয়েছে, গত ৪-৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। উত্তর কোরীয় ভাষায় ‘হায়েলি’ শব্দের অর্থ সুনামি। কেসিএনএ-তে আরও বলা হয়েছে যে, সমুদ্রের নীচ দিয়ে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছিল। অবশেষে তা সফল হল।
কেসিএনএ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘হায়েলি ২’ ড্রোনের রেঞ্জও বাড়ানো হয়েছে ‘হায়েলি ১’-এর তুলনায়। ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিটে ১০০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারবে এই ড্রোন। এই ড্রোন পরীক্ষার ছবিও প্রকাশ করেছে কেসিএনএ। সমুদ্রের জলের নীচে কালো রঙের টর্পেডোর আকারে তৈরি করা হয়েছে এই ড্রোন।
সামুদ্রিক ড্রোনের পরীক্ষার পরই জোর আলোচনা চলছে যে, তা হলে কি ইতিমধ্যেই সমুদ্রে এই ধরনের ড্রোন মোতায়নে করেছে কিমের দেশ? যদিও কেসিএনএ দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনও রকম হামলার চেষ্টা করা হলে, তা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত পিয়ংইয়ং।
প্রতি দিন কিছু না কিছু সামরিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। দিন কয়েক আগেই স্বল্প পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া।