North Korea

North Korea: দেশের মানুষের উন্নতির অঙ্গীকার করার পরেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কিমের

খাদ্য এবং আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে উত্তর কোরিয়া। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশকে বার করে আনার জন্য নতুন বছরের শুরুতেই শপথ নিয়েছিলেন প্রশাসক কিম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পিয়ংইয়ং শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৩৮
Share:

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎ‌ক্ষেপণ উত্তর কোরিয়ার। ছবি সৌজন্য টুইটার।

ফের স্বমিহমায় উত্তর কোরিয়ার প্রধান প্রশাসক কিম জং উন! ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক উন্নয়নের কথা সরিয়ে রেখে নতুন বছরের শুরুতে দেশ এবং নাগরিকদের মানোন্নয়ন নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন কিম। সেই কিমের দেশই পর পর দু’দিন সামরিক শক্তির প্রদর্শন করল। পর পর দু’দিন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎ‌ক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদপত্র কেসিএনএ-র প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত হানতে পারে, এমন শক্তিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎ‌ক্ষেপণ হল।

খাদ্য এবং আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে উত্তর কোরিয়া। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশকে বার করে আনার জন্য নতুন বছরের শুরুতেই শপথ নিয়েছিলেন প্রশাসক কিম। অস্ত্র নয় খাদ্য, বস্ত্র এবং বাসস্থানের উপরই জোর দেওয়া হবে— এমন বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। যা দেখে গোটা বিশ্ব অবাক হয়েছিল। অস্ত্র ছাড়া যে মানুষ কথা বলেন না, তাঁর মুখে দেশের নাগরিকদের মানোন্নয়ন? তাঁর এই স্বভাববিরুদ্ধ আচরণে হতবাক হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল।

Advertisement

কিন্তু কিম যে কিম-ই, তা প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় নিলেন না। খাদ্য, বস্ত্র নিয়ে কথা বলা সেই কিমই এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁর আগের রূপে ফিরলেন। ফের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে পর পর ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করলেন। কিমের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের নাগরিক জীবনের মানোন্নয়নের চেয়ে সামরিক অস্ত্রসম্ভারকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কিম। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছেন। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল আমেরিকা-সহ বহু দেশ। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জও উত্তর কোরিয়ার এই কর্মকাণ্ডকে ভাল চোখে নেয়নি। আন্তর্জাতিক মহল থেকে উত্তর কোরিয়ার উপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। কিন্তু তাতেও যে কিমের উদ্যোগ দমে যাওয়ার নয়, পর পর ক্ষেপণাস্ত্র উৎ‌ক্ষেপণ করে তা প্রমাণ করল পিয়ংইয়ং।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement