জাপানে সম্প্রচার করা হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ প্রসঙ্গে। সতর্ক করা হচ্ছে বাসিন্দাদেরও। ছবি: এএফপি।
জাপানের দ্বীপগুলিকে যে কোনও মুহূর্তে পরমাণু বোমা দিয়ে ধূলিসাত্ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে তারা। এই হুমকি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল পিয়ংইয়ং। আর সেই ক্ষেপণাস্ত্রই জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের উপর দিয়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে। গত তিন সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জাপানের উপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাল উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন: পরমাণু বোমা ফাটানোয় দক্ষিণ কোরিয়ায় বসে গিয়েছে আস্ত একটা পর্বত!
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ পিয়ংইয়ঙের উত্তরে সুনান বিমানঘাঁটি থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্ক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। সেটিকে জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের ১২০০ মাইল পূর্বে বিস্ফোরণ ঘটায় কিমের দেশ। পিয়ংইয়ঙের এই ভূমিকায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ও বিচলিত টোকিও। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সোল-ও। উত্ক্ষেপণের পর পরই জাপানে সতর্কতা জারি করা হয়। সমস্ত বাসিন্দাদের সুরক্ষিত জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি যোশিহিদে সুগা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানান, উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের কাজ কোনও ভাবেই মেনে নেবেন না তাঁরা। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের উপর দিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোয় তীব্র প্রতিবাদ করেছে আমেরিকাও।
আরও পড়ুন: পরমাণু বোমা মেরে সমুদ্রে ডোবানো হবে জাপানকে, হুমকি উত্তর কোরিয়ার
জাপানের প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৯ অগস্টে যে হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া, এ দিনের ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল অনেকটা একই রকমের। ৩০০০ মাইল দূরপাল্লার সেই ক্ষেপণাস্ত্র গুয়ামে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে বলে সে দিন দাবি করেছিলেন কিম। সে দিনও ক্ষেপণাস্ত্রটি হোক্কাইডো দ্বীপের পূর্বে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে।
২৯ অগস্ট ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণের পরই গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইড্রোজেন বোমা ফাটানোর দাবি করেছিল পিয়ংইয়ং। তার পরই ফের এ দিনের ক্ষেপণাস্ত্র উত্ক্ষেপণে টোকিও ও সোলের চিন্তা আরও বাড়াল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।