ফের জাপানের দিকে ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ল পিয়ংইয়ং। ছবি: এপি
ফের ক্ষেপণাস্ত্র। আবারও বেপরোয়া কিম জং উন। জাপানের উপর দিয়ে আজ প্রশান্ত মহাসাগরে আরও এক বার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পিয়ংইয়ং।
গত ২৯ অগস্ট উত্তর-পূর্ব জাপানের এই হোক্কাইডো প্রদেশের উপর দিয়েই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল কিমের দেশ। তার পর চলতি মাসের শুরুতে ভয়াবহ সেই হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা। এর জেরেই গত সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ ফের এক প্রস্ত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা চাপায় উত্তর কোরিয়ার উপর। পিয়ংইয়ং তখনই ফোঁস করে উঠেছিল। কিন্তু সপ্তাহ ঘোরার আগেই যে ছোবল মারবে, তা একেবারেই আঁচ করা যায়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, মাঝারি পাল্লার হলেও আজকের ক্ষেপণাস্ত্রটা আধুনিক প্রযুক্তির এবং বেশ শক্তিশালী। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো জাপানও এর কড়া নিন্দা করেছে। পিয়ংইয়ংয়ের এমন উস্কানি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে টোকিও।
ফুঁসছে আমেরিকাও। সোলের দাবি, আজ সকাল ৭টা নাগাদ পিয়ংইয়ংয়ের উত্তরে সুনান বিমানঘাঁটি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উপরে উঠে ৩৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দেয়। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন দ্বীপ গুয়ামের দূরত্ব এর চেয়ে কমই। এ বার কি তা হলে গুয়ামই নিশানা কিমের? সরাসরি এই আশঙ্কার কথা স্বীকার না করলেও, কিমকে ফের আজ একহাত নিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন। পরোক্ষে এমন বেপরোয়া কর্মসূচির দায় চাপিয়েছেন চিন, রাশিয়ার উপরেও। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তর কোরিয়াকে জ্বালানি দিয়েই চলেছে বেজিং। আর ওদের শ্রমিক নিচ্ছে মস্কো। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে হলে এ বার সরাসরি পদক্ষেপ করা উচিত ওদের।’’
চিন অবশ্য বিবৃতি দিয়ে তাদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই উৎক্ষেপণ যে উস্কানিমূলক, মানছে রাশিয়াও। আর জাপান যেন এখনও ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারছেনা। ‘ওয়াশিংটনের কথায় টোকিও নাচছে’ বলে গত কালই পরমাণু হামলায় জাপানের দ্বীপগুলোকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। আজ তাই কিমের ক্ষেপণাস্ত্র মাথার উপর দিয়ে মিনিট দুয়েকের জন্য উড়ে যেতে দেখেই চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করে জাপান। তড়িঘড়ি সুরক্ষিত আশ্রয় নেওয়ার কথা বলা হয় সমস্ত বাসিন্দাকে। কিমকে ঠেকাতে আজই ফের জরুরি বৈঠক ডেকেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ।