মালালা ইউসুফজাই। ফাইল ছবি।
ফ্যাশন এবং জীবনধারা সংক্রান্ত পত্রিকা ভোগ। খ্যাতনামীরা ছাড়াও সম্প্রতি সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা। আর এ বার ভোগের জুলাই মাসের সংস্করণের প্রচ্ছদে জায়গা করে নিলেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। মালালার একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশিত হয়েছে এ মাসে। তার পরই বিষয়টি নিয়ে চর্চায় মেতেছেন নেটাগরিকরা। ভোগের প্রচ্ছদে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বদের জায়গা করে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তাঁদের বক্তব্য, ‘সময় বদলাচ্ছে’।
মালালার আগে ভোগের প্রচ্ছদে জায়গা করে নিয়েছিলেন কেরলের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী মহিলা সীতা বসুনিয়া। জুলাই মাসের সংস্করণে ভোগ পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মালালা মুখ খুলেছেন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী জীবন নিয়েও। গত বছর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেন তিনি। ছাত্রজীবনে অতটা সময় না পেলেও বর্তমানে বন্ধুদের সঙ্গে পোকার খেলা এবং ম্যাকডোনাল্ডের মতো রেস্তরাঁতে খেতে যাওয়া তিনি কেমন উপভোগ করছেন সে কথাও জানিয়েছেন।
পাকিস্তানে বালিকাদের পড়াশোনায় উদ্যোগ নেওয়াতে মাত্র ১৪ বছর বয়সে তালিবানিদের গুলি বিদ্ধ করছিল তাঁকে। তার পর শুরু হয় তাঁর লড়াই। তার পর থেকে দীর্ঘ সময় ব্রিটেনেই থাকেন তিনি। সেখানে চালিয়ে যান পড়াশোনা। যদিও যে এলাকায় তাঁর জন্ম সেখানকার প্রচলিত ধরনেই পোশাক পরতে দেখা যায় তাঁকে। এই প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছিল ভোগের নেওয়া সাক্ষাৎকারে। তাঁর জবাবে মালালা বলেছেন, ‘‘মুসলিম মহিলা বা পাস্তুনের মেয়েরা বা পাকিস্তানের মেয়েরা চিরচরিত পোশাক ব্যবহার করে বলে অনেকেই বিষয়টিকে অবদমিত, পুরুষতান্ত্রিকতায় আবদ্ধ হিসাবে দেখেন। এ ব্যাপারে আমি সকলকে বলতে চাই, আপনার সংস্কৃতির মধ্যে আপনার নিজস্ব স্বর থাকতে পারে, নিজস্ব সংস্কৃতির সমতা থাকতে পারে।’’
তবে তথাকথিত তারকাদের বাইরে ভোগ পত্রিকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতিদের জায়গা করে নেওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত নেটাগরিকরা। তাঁরা বিষয়টি নিজে নিজেদের মত ব্যক্ত করেছেন।