বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণন।
বিজ্ঞানীদের জন্য ব্রেক্সিট-পরবর্তী সুষ্ঠু অভিবাসন প্রক্রিয়া চেয়ে আবেদন জানালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণন। তিনি বলেছেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে বিজ্ঞানীদের যাতায়াত করতে যেন কোনও অসুবিধা না হয়।
ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটির সভাপতি বেঙ্কটরামনের আশঙ্কা, বিজ্ঞান অনুশীলনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্রিটেনের যে জায়গায় রয়েছে, ব্রেক্সিট মীমাংসার ভুলে তা হারাতে পারে এই দেশ। ‘প্রোফেসর বেঙ্কি’ বলে জনপ্রিয় এই বিজ্ঞানীর কথায়, ‘‘রয়্যাল সোসাইটি এবং অন্য সব বৈজ্ঞানিক গোষ্ঠীর তরফে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি, যাতে অভিবাসনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, দ্রুত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।’’ সোমবার রয়্যাল সোসাইটির অনুষ্ঠানে বেঙ্কটরামন বলেন, ‘‘অভিবাসনের জন্য যাতে কোথাও কিছু আটকে না যায়, সেটা সুনিশ্চিত করতে আমরা কঠিন লড়াই চালাচ্ছি। এটা রাজনৈতিক লড়াই, তবু যতটা করা যায়, তার চেষ্টা করছি।’’
বিজ্ঞানে তাঁর অবদানের জন্য বেঙ্কটরামন ২০১২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের কাছ নাইট উপাধি পান। তাঁর সঙ্গে রয়্যাল সোসাইটির প্রাক্তন দুই সভাপতি পল নার্স এবং মার্টিন রিস-ও এই লড়াইয়ে নেমেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই এ বিষয়ে একমত যে, ব্রেক্সিটের রাজনৈতিক বিতর্ক বিজ্ঞানীদের স্বার্থে বড় আঘাত করতে চলেছে। বেঙ্কটরামন নিজে তামিলনাড়ুর চিদম্বরমের বাসিন্দা। আমেরিকায় জীববিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করতে যান ১৯ বছর আগে। তার পরে চলে আসেন ব্রিটেনে। এখন তাঁর মনে হয়, ‘‘সে সময়ে অভিবাসনের গোটা প্রক্রিয়াটাই অনেক সাধারণ ছিল। এখনকার মতো জটিলতা ছিল না। যা আসলে বাধারই সমতুল।’’ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র কাছে বেঙ্কটরামনের মতো বিজ্ঞানীদের তাই আর্জি, ব্রেক্সিট মীমাংসায় বিজ্ঞান যেন পিছনের সারিতে চলে না যায়। বেঙ্কটরামনের কথায়, ‘‘বিজ্ঞান হেরে গেলে কিন্তু সবারই হার।’’