ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজ়ার বহু এলাকা। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়াকে চার দিকে থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে আগেই। বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল-সহ সব কিছুর সরবরাহ স্তব্ধ করে দিয়েছে ইজ়রায়েল। এ বার তারা হুঁশিয়ারি দিল অপহৃতদের না ফেরালে, এক ফোঁটা জলের জন্যও ছটফট করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ইজ়রায়েলের শক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইজ়রায়েল কাটজ় হামাসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন এবং একই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যদি ইজ়রায়েলের অপহৃত নাগরিকদের না মুক্তি দেওয়া হয়, তা হলে গাজ়ায় সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ আটকে দেওয়া হবে।” তাঁর কথায়, “ওরা (হামাস) না পাবে বিদ্যুৎ, না পাবে জল। অপহৃতদের ফেরালে তবেই কলের জল মিলবে। ঘরে আলো জ্বলবে।”
ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়ে ১৫০ জন নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে হামাস। শুধু ইজ়রায়েলি নাগরিকই নন, বিদেশিদেরও অপহরণ করা হয়েছে। ১২০০ নাগরিককে খুন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি তথ্যে দাবি করা হয়েছে, গাজ়াকে চার দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলায় সেখানে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। অন্ধকারে ডুবে রয়েছে গোটা গাজ়া ভূখণ্ড। বুধবার প্যালেস্তাইনের একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। তার মধ্যে ইজ়রায়েল হামলা আরও জোরদার করায় সেখানে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্তাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজ়া ভূখণ্ডের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ছবিটা আরও ভয়াবহ। দু’পক্ষের এই যুদ্ধে গাজ়ার ২০ লক্ষ মানুষ প্রভাবিত। গত ৭ অক্টোবর থেকে ১১০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাজ়ায়। তিন লক্ষেরও বেশি বাসিন্দা ঘরছাড়া। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালগুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। হাতে মারার পাশাপাশি হামাসকে ভাতে মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইজ়রায়েল। গাজ়াকে চার দিক থেকে অবরুদ্ধ করে দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে।