তালিবানকে জবাব দিতে তৈরি হচ্ছে পঞ্জশিরের এই বাহিনী। ছবি: রয়টার্স।
তলিবানকে কড়া টক্কর দিতে ভৌগোলিক কারণে এমনিতেই অনেকটা সুবিধা রয়েছে পঞ্জশির উপত্যকার। কিন্তু তাকে আরও দুর্ভেদ্য করে তুলেছে ন্যাশনাল রেজিসটেন্স ফ্রন্ট (এনআরএফ)-এর ন’হাজার সেনা। উপত্যকায় ঢোকার মূল রাস্তার দু’পাশে চলছে এই বাহিনীর কড়া নজরদারি।
অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত এনআরএফ জওয়ানরা আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে তালিবানকে যে কোনও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। মূল রাস্তার দু’পাশে পাহাড়ে মেশিনগান, মর্টার তাক বসে আছে এনআরএফ জওয়ানরা। রাস্তায় টহল দিচ্ছে বিশাল বাহিনী। পুরো পঞ্জশির যেন দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছে। তালিবান ঢুকলেই পুরো শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিহত করতে তৈরি মাসুদ বাহিনী।
তালিব জঙ্গিরা পঞ্জশিরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল আগেও। কিন্তু কড়া হামলার মুখে পড়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়। তাই এ বার পুরো শক্তি নিয়ে ঝাঁপানোর চেষ্টা করতে পারে তালিবান। সেটা আঁচ করেই পঞ্জশিরকে আরও দুর্ভেদ্য করার জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পঞ্জশিরের এক যোদ্ধা বলেন, “তালিব জঙ্গিদের ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি আমরা।”
ইতিমধ্যেই তালিবানের ৪০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পঞ্জশিরের এনআরএফ বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। তালিবানের সামনে দুটো প্রস্তাব রেখেছেন মাসুদরা। বলা হয়েছে খোরাসানের মানুষদের মূল্যবোধকে স্বীকার করতে হবে। না হলে আরও বড়সড় বিরোধের মুখে পড়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে তালিবানকে।